
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে তারুণ্যের সমাবেশে সমবেত হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন তারা।শনিবার (১০ মে) বিকেলে সমাবেশ শুরুর আগে উদ্দীপনামূলক গান পরিবেশন করা হচ্ছে। দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন নেতাকর্মীরা।তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সমাবেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে সমবেত হয়েছেন।মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও উপস্থিত আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভাগের ৯৯টি উপজেলার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে নানা স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।মহাসমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়েছে নানা প্রস্তুতি। থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে হয়েছে একাধিক প্রস্তুতি সভা ও প্রচারণা কার্যক্রম। বিএনপির সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, তীব্র গরমের মধ্যেও সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে তরুণদের সচেতন করা, দেশপ্রেম জাগ্রত করা এবং আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই তারুণ্যের সমাবেশ।
সমাবেশে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, তাপদাহ উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। তরুণদের সামনে রেখে আমাদের মূল লক্ষ্য এক কোটি তরুণ ভোটারকে উদ্বুদ্ধ করা। একইসঙ্গে রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে তরুণ সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও আমাদের উদ্দেশ্য। যার জন্য আজকের তারুণ্যের সমাবেশ।সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজমত আলী বাহাদুর বলেন, আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।