
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সব বিচার এই সময়ের মধ্যে হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই। দুই-চারটা হলেও আমরা শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই।’ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সিলেট নগরের বালুচরে সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াত আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিন-তিনটি নির্বাচনে মানুষ তাদের অধিকার এবং পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে বাছাই করতে পারেনি। আমরা আশাবাদী, আগামী বছরের প্রথম অংশে এ নির্বাচন হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক সংস্কারগুলো যদি করা না হয় এবং আগের মতো যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচন জাতির জন্য আরেকটি দুর্ভাগ্য ও বেদনার কারণ হবে। আমরা এটা দেখতে চাই না এবং এটা হতে দিতে পারি না।এজন্য প্রয়োজন সংস্কার ও অপরাধীর বিচার।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি কেউ ধানাইপানাই করেন, মনে রাখবেন যুবকেরা রাস্তা চিনে ফেলেছে। আগামীতে আমি করি আর আপনি করেন, ধানাইপানাই করলে যুবকেরা আপনাকে আমাকে কাউকে ছাড়বে না।’
বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের কথা একদম পরিষ্কার।একেবারে বাস্তবিক অর্থেই আমরা কোথাও কারো কোনো প্রভুত্ব মানব না। প্রভু আমাদের একজনই, তিনি আল্লাহ সুবহানা তায়ালা। এমনকি কারো বড় ভাই গিরিও আমরা মানব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশ ছোট না বড়, এটা কোনো বিষয় নয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ।১৮ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ। এখানে প্রতিবেশীরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু কোনো প্রতিবেশী যদি অব্যাহতভাবে আমাদের অধিকার হরণ করতে থাকেন। তাহলে এদেশের একসঙ্গে ১৮ কোটি মানুষ রুখে দাঁড়াবে।’
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার কারো কাছে বন্ধক রাখব না। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কেউ নাক গলাক, এটাও আমরা চাইব না। আমরা মর্যাদার ভিত্তিতে তাদেরকেও মর্যাদা দিতে চাই, আমরাও মর্যাদা পেতে চাই। এই ভিত্তিতেই হবে আমাদের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন।’