
সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট গত ১৪ এপ্রিল দুপুর ১:৩০ টা থেকে বিকাল ৫:৩০মি: পর্যন্ত শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ এর সভাপতি ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক বাচিকশিল্পী শরীফ বায়জীদ মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন গীতিকার ও সুরকার তফাজ্জল হোসেন খান, সুরকার- শিল্পী সাইফুল্লাহ মানছুর, বিসিএর সভাপতি আবেদুর রহমান,সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।সভাপতি বলেন দীর্ঘদিন মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে ফ্যাসিষ্ট সরকার এ অনুষ্ঠানটিকে তাদের প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উপলক্ষ বানিয়ে ছিল, যার মাধ্যমে তারা দেশীয় সংস্কৃতির বিপরীতে পৌত্তলিকতাকেই প্রমোট করতো। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে মূল নামে এবারে আনন্দ শোভাযাত্রায় ফিরেছে।
নাট্যকার মাহবুব মুকুল,আহসান হাবীব খান ও শিল্পী হাসানাত আব্দুল কাদের এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ওই নূতনের কেতন ওড়ে স্লোগানে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সাজানো হয়। যেখানে ছিল চিরায়ত বাংলা গান, দেশাত্ববোধক গান, জারি-সারি, পুঁথিপাঠ, গাম্ভিরা ও নাটিকা, আবৃত্তি ইত্যাদি।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদ, জাগরণ শিল্পীগোষ্ঠী, উচ্চারণ শিল্পীগোষ্ঠী, সন্দীপন সাংস্কৃতিক সংসদ, সওগাত সাংস্কৃতিক সংসদ, নিমন্ত্রণ সাংস্কৃতিক সংসদ, স্পন্দন সাংস্কৃতিক সংসদ, মহানগর ও রাজধানী শিল্পীগোষ্ঠী, মহানগর নাট্যসংসদ, রাজধানী থিয়েটার ও স্বপ্নবাড়ী সাংস্কৃতিক সংসদ।
হাজারো দর্শক শ্রোতা তীর্ব গরমকে উপেক্ষা করে শিল্পীদের বর্নিল পরিবেশনা উপভোগ করেন। অনেকেই স্ব-পরিবারে এসে মুক্ত পরিবেশে দীর্ঘ ৪ ঘন্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠান দেখেন।