বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় ইসির মিডিয়া সেন্টরে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ সময় সিনিয়র সচিব এবং ডিজি (এনআইডি) উপস্থিত থাকবেন।এর আগে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারিতে তৈরি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে মোট ভোটার ছিলো ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন, আর নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন। হিজড়া ভোটার ছিল ৮৪৮ জন।  অন্যদিকে, চূড়ান্ত হালনাগাদ শেষে ২০২৪ সালের ২ মার্চে প্রকাশিত ভোটার দাঁড়ায় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এ ক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্য নেওয়া হয়। এই হিসেবে এক বছরে ভোটার বাড়ে ২৫ লাখ ১৭ হাজার তিনজন। অর্থাৎ বিরাট সংখ্যক ভোটার নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। নতুন নির্বাচন কমিশন বিশাল সংখ্যক তরুণ ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকরা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করলেই ভোটার হতে পারেন। এজন্য বছরের যেকোনো সময়ই ভোটার হওয়া যায়। তবে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে প্রতি বছরের ২ মার্চ। তার আগে ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি ও আপত্তি নেয়। সেগুলো নিষ্পত্তির পরই প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। আর এই তালিকার ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন।