ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪,
সময়: ১২:৩০:১০ PM

মিয়ানমার কি বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাচ্ছে?

ডেস্ক রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
27-09-2024 04:39:20 PM
মিয়ানমার কি বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাচ্ছে?

দীর্ঘ সংঘাতের মধ্যেই এবার বিরোধী পক্ষগুলোকে অস্ত্র ছেড়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জান্তা বাহিনীকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রেখেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে গোষ্ঠীগুলো জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশটির একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এমন অবস্থানে যেতে হয়েছে তাতমাদোকে।সেনাবাহিনীর আলোচনার আহ্বানের পর সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী পক্ষগুলো। এর আগে, জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল জান্তা শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এবং বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকার পরিচালিত সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসকে ‘সন্ত্রাসবাদী পথ’ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল বলেছে, ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং পিডিএফ সন্ত্রাসবাদীদের দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যাতে তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী পথ পরিত্যাগ করে টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের ওপর জোর দিতে জনগণের সঙ্গে হাত মেলাতে সক্ষম হয়।’তবে জান্তা সরকারের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্যের সরকার। এই সরকার মূলত ২০২১ সালে যে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ছিল তাদের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। এনইউজির মুখপাত্র নেই ফোন লাট বলেছেন, এটা বিবেচনারই বিষয় নয়।

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জান্তা বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর অন্তত ৫ হাজার ৭০৬ জন খুন হয়েছে তাদের হাতে। একই সময়ে জান্তা বাহিনী অন্তত ২১ হাজার জনকে বন্দি করেছে।

অন্যদিকে, নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা জান্তা বাহিনী দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। মূলত নির্বাচন আয়োজনের অংশ হিসেবেই বিরোধীদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জান্তা সরকার জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ শুরু হবে, যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়।