আর একদিন পরেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। এর আগের দিন দেশটিতে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নির্বাচন বানচালের জন্য এসব সহিংসতা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীনরা। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলুচিস্তানের পিশিন ও কিলা সাইফুল্লাহ এলাকায় দফায় দফায় বিস্ফোরণে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে কোয়েটা থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত পিশিনের খানোজাই ইউনিয়ন পরিষদে।জেলা প্রশাসক জুম্মা দাদ মান্দোখাইল জানান, পিবি-৪৭ (পিশিন ১) থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আসফান্দিয়ার কাকারের নির্বাচনী কার্যালয়ের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত ও ২৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডিসি বলেন, ওই এলাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরসাইকেলে বিস্ফোরক রাখা ছিল। সেটি বিস্ফোরিত হলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।এর কিছুক্ষণ পরেই কিলা সাইফুল্লাহ এলাকায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসক ইয়াসির বাজাই জানান, জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) নির্বাচনী কার্যালয়ের বাইরে এই বিস্ফোরণে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে কোয়েটায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা’
নির্বাচনের আগমুহূর্তে এ ধরনের সহিংসতাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। বিস্ফোরণের বিষয়ে বেলুচিস্তানের মুখ্য সচিব এবং প্রাদেশিক পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিবেদন চেয়েছে তারা।বেলুচিস্তানের অন্তর্র্বতীকালীন মুখ্যমন্ত্রী মীর আলি মর্দান ডোমকিও বিস্ফোরণের ঘটনায় নোটিশ জারি করেছেন এবং প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশের পাশাপাশি তিনি দোষীদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য’ এসব হামলা চালানো হয়েছে। তবে জনগণের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।হামলা-বিস্ফোরণে ভীত না হয়ে ভোটারদের আগামীকাল ভোট দিতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বেলুচিস্তানের এ নেতা।