পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বোন আলিমা খান বলেছেন তিনি কিংবা তাঁর কোনো বোনই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের স্ত্রী বুশরাও অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার দ্য নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে আলিমা খান বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না।আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এমনকি ইমরান খান বললেও আমি নির্বাচনে অংশ নেব না।’
আলিমার অন্য কোনো বোন বা ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার (ইমরান) মামলার শুনানি চলার কারণে আমরা এখানে এসেছি।’
আলিমা আরও বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সঙ্গে ভুট্টোর মতো আচরণ করা যাবে না। কারণ, ভুট্টোর সময়ে এখনকার মতো তরুণ প্রজন্ম ছিল না।
আলিমা অভিযোগ করেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের প্রধান নওয়াজ শরিফ এখন তাঁর দুজন আম্পায়ার ঠিক করে রেখেছেন এবং এখন আর মাঠে (নির্বাচনের মাঠ) কোনো খেলোয়াড়কে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আজ সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে পিটিআই
গতকাল তোশাখানা মামলায় ট্রায়াল কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরানের করা আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। তোশাখানা মামলায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। গতকাল এমন ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা।পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়টিকে কারাবন্দী পিটিআইপ্রধানের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত থেকে যাচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮-২২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে ইমরান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এ সাজা ঘোষণার কারণে ইমরান পাঁচ বছর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। আগস্টের শেষের দিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের বিরুদ্ধে ওই দণ্ড স্থগিত করেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে করা আবেদনে ইমরান তাঁর সাজা বাতিলের আরজি জানিয়েছেন।