আপত্তিকর নোংরা ভিডিও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও সোসাল মিডিয়ায় প্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসরাত জাহান লামিয়া। বরগুনা জেলার আমতলী থানার ইসরাত জাহান লামিয়া বলেন,আমাকেসহ চারজন জনপ্রতিনিধি নিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর নোংরা ভিডিও ও নিউজ প্রচার করে আমাকে মানসিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানুষিক ভাবে ক্ষতি করেছে। এরা আমাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বরগুনা জেলার আমতলী থানার ছোট বগির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু ও তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকির আমাকে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করে আসছে। তারা কৌশলে আমাকে মোবাইল ফোন দিয়ে স্বাভাবিক ভিডিও করতে বাধ্য করেছে। পরে ফোন তাদের হাতে নিয়ে ফোনের স্বাভাবিক কিছু ছবি নিয়ে সুপার এডিট করে অস্বাভাবিক ও নোংরা ভিডিও তৈরী করে বিভিন্ন মানুষের কাছে দেয়। যে সব রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ভিডিও করা হয়েছে তাদের কাছে চাদাঁ দাবি করে। এমনকি ঐ সব দুষ্ট লোকেরা চাদাঁ না দিলে তাদের নিয়ে তৈরী করা আমার নোংরা ভিডিও মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মান সম্মানের ভয়ে নিরুপায় হয়ে তাদেরকে ১০ লাখ টাকাে দিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের মান সম্মান বাচাঁনোর চেষ্টা করি। লামিয়া বলেন, এর পরেও স্থানীয় চার রাজনৈতিক নেতার কাছেও টাকা চায় তারা । এবং সোসাল মিডিয়ায় ছবি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউয়ন চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনুর সাথে দ্বন্ধ শুরু হয় ঐ চার রাজনৈতিক নেতাদের। আমি এসব দেখে মানুষিক ভাবে আরো বিপর্যস্ত হয়ে পরি। তনুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে চার রাজনৈতিক নেতা মামলা করে।এতে আমার উপর আরো চড়াও হয় তনু। আমি বাচঁতে চাই, তাই আমাকে নিয়ে যারা নোংরা খেলায় মেতে উঠছে তাদের বিচার চাই। আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ সমাজের মানুষের কাছে আমার আকুল আবেদন এই নোংরা লোকটার বিচার করুন। আমাকে ভাল বাবে বাচঁতে দিন। তিনি বলেন, আমি এখন এতটাই মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছি ওদের বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়া উপায় নেই। তাই শীগ্রই নোংরা লোকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেন লামিয়া।