
বরিশাল ৬ আসনের জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক এবং সাবেক সফল এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান। সমাজহিতৈষী ও কল্যাণমূলক কর্মকান্ডের জন্যই নয়, সুখ-দু:খে পাশে থেকে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মধ্যদিয়ে বাকেরগঞ্জের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করছেন তিনি। জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, জনকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি গত ১৬টি বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের শিকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মীর পাশে ছিলেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। শুধু নেতাকর্মীই নন, তিনি নিজেও স্বৈরাচার হাসিনার প্রতিহিংসার রোষানলে পড়ে হামলা-মামলাসহ একাধিকবার কারাবরণ করেন। সাবেক এই সংসদ সদস্যের বোন এবং তার প্রিয়তমা স্ত্রী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বোন ও তার স্ত্রীর চিকিৎসাকালেও তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হয়েছিল। চিকিৎসার সময়ও পাশে থাকতে পারেনি। রাজপথে প্রতিটি পদক্ষেপে সাবেক এই এমপির মৌলিক অধিকার টুকু হরণ করেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বাকেরগঞ্জের মানুষের এই জনপ্রিয় নেতা আবুল হোসেন খান বিএনপির দুর্দিনে সাহসী কণ্ঠস্বর ছিলেন। প্রসঙ্গে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলছে , দলের দুর্দিনে বিগত ১৬ বছর বিএনপির কাণ্ডারী হিসেবে আবুল হোসেন ও স্থানীয় বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়া কেউ চোখে পড়ার মতো ছিলনা। অথচ জুলাই-অভ্যুথানের মধ্যদিয়ে স্বৈরচার হাসিনা সরকার দেশ থেকে পলায়নের পর এমপি হওয়ার জন্য বরিশাল ৬-আসনের নির্বাচনী এলাকায় এখন দু-এক জন শীতের কোকিল দেখা যাচ্ছে। এই শীতের কোকিল বসন্ত আসার আগেই হাজির হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিএনপি নেতারা বলছে, এই শীতের কোকিল স্থানীয় বিএনপির মধ্য কোন্দল সৃষ্টি করে বিভক্তি করারও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু আওয়ামী নেতাকর্মী ও তাদের দোসরকে নিয়ে বাকেরগঞ্জে মিছিল-মিটিং করছে। একশ্রেণির নব্য নেতা-কর্মীর আগমন ঘটেছে, যাদের অতীতে দলের দুঃসময়ে মাঠে দেখা যায়নি। ২০০৯ সালের পর থেকে ১৬ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী শাসনামলে গুম-খুন, মামলা-হামলা, কারাবরণসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই দুঃসময়ে যারা রাজপথে ছিলেন না, বরং নিজেদের গুটিয়ে রেখেছিলেন, তারাই আজ পদ-পদবি ও এমপি পদে নমিনেশন পাওয়ার আশায় সক্রিয়। জনপ্রিয় এই দলটির সুনাম ক্ষুন্ন করতেই অনেকে একে অপরের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করছেন। এসব ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের।
আবুল হোসেন খানের পরিচিতি: বরিশাল ৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের সাবেক সফল সংসদ সদস্য মো. আবুল হোসেন খান। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনটি ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের বসবাস করে। আবুল হোসেন খান ছাত্র জীবন থেকেই জনকল্যানমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই আসন থেকেই নির্বাচিত সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুছ খানের মৃত্যুর পর বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুসংগঠিত করার নেতৃত্বে আসেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান। তিনি ২০০১ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচতি হয়েছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন।
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড: আবুল হোসেন খান সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে বরিশাল-৬ আসনের মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সংস্কার, কৃষকদের সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে তার নেওয়া উদ্যোগ আজও এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়েও অবিচল: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, মামলা-হামলা, জেল-জুলুমসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আবুল হোসেন খান বিএনপির হয়ে রাজনৈতক মাঠে সক্রিয় ছিলেন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন দমন-পীড়নের শিকার হন, তখনও তিনি সাহসিকতার সাথে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার এই ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস তাকে শুধু কর্মী-সমর্থকদের কাছেই নয়, সাধারণ ভোটারদের কাছেও একজন জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সকল মত ও ধর্মের মানুষের কাছে আজ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
নির্বাচনী মাঠে সরব: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকেই বরিশাল-৬ আসনের গ্রামগঞ্জের প্রতিটি নেতাকর্মীর খোজখবর রাখছেন আবুল হোসেন খান।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে তার ভালোবাসার কর্মীর সমর্থকদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। ইতোমধ্যে পোস্টার, ব্যানার, গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় তার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল কর্মীরা তাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হচ্ছে। গ্রামগঞ্জের ছোট ছোট চায়ের স্টলেও আলোচনা চলছে আবুল হোসেন খানকে নিয়ে। মাঠের কর্মীরা বিশ্বাস করেন, আবুল হোসেন খান হচ্ছে তাদের আস্থার প্রতীক ও বিশ্বাসের জায়গা। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের আবুল হোসেন খানের বিকল্প নেই। বিশেষ করে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় জনমত: বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এমন একজন জনপ্রতিনিধি চান যিনি সত্যিকারের অর্থে এলাকাবাসীর জন্য কাজ করবেন। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, অতীতে আবুল হোসেন খানের উদ্যোগে তারা নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। তরুণ ভোটাররা মনে করেন, অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তার রয়েছে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা। নারী ভোটারদের মতে, তিনি সবসময় সমাজে নারী শিক্ষা ও উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সম্ভাব্য নির্বাচনী সমীকরণ : রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৬ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে জামাত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও সক্রিয় রয়েছেন। বিএনপির মধ্যও দলটির কেউ কেউ কোন্দল সৃষ্টি করে রাখার চেষ্টা করছে। তারা হচ্ছেন কিছু সুবিধাভোগী। দলের দুর্দিনে কর্মীদের কাছে ছিলেন না। তাই এ আসনে বিএনপি শক্তিশালীভাবে মাঠে থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হবে। আবুল হোসেন খানের জনপ্রিয়তা, দলের প্রতি তার ত্যাগ ও অবদান এবং জনগণের প্রত্যাশার কারণে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রধান ভরসা হয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। তারা মনে করেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির তরফ থেকে আবুল হোসেন খানই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী।
বরিশাল -০৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, গত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকেছি, মামলা-হামলা, জেল-জুলুমসহ নানা হয়রানীর শিকার হয়েও রাজপথে থেকে দলের নিদের্শনা পালন করেছি। জুলাই অভ্যুথানে যারা নিহত ও আহত হয়েছে, সুখ-দু:খে তাদের পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি বলেও জানান সাবেক এই এমপি মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান।
তিনি বলেন, দলীয় আদর্শে আপস করি নাই। রাজনীতি সহজ নয়। টাকা থাকলেই নেতা হওয়া যায় না। তবে টাকা না থাকলেও যদি জনগণের পাশে থাকা যায়, তাহলে রাজনীতি সম্ভব। আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শক্তিশালী করার জন্য রাজনীতি করছি। বিএনপি যদি আমাকে যোগ্য মনে করে বরিশাল ৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি আশা করি এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে সক্ষম হবো-ইনশআল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী রেজাউল ইসলাম রব বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অত্যাচার নির্যাতন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনরায় দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি যিনি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করেছেন। পাঁচ বছর সংসদ সদস্য থেকে অনিয়ম দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থেকে নাগরিক সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন।
বরিশাল ৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের বিএনপির কাণ্ডারী হিসেবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খানের সুশৃঙ্খল নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে আগামীর বাকেরগঞ্জ এবং আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য আধুনিক সুখী সমৃদ্ধ বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিনির্মাণে আমাদের প্রিয় নেতা আবুল হোসেন খানের বিকল্প দেখছি না। দলের নিবেদিতপ্রাণ আবুল হোসেন খানকে বিএনপি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দিলে এই আসনটি উপহার দিতে সক্ষম হবে বাকেরগঞ্জবাসী-ইনশআল্লাহ।