দীর্ঘ ১০ বছর পর হতে যাচ্ছে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের কাউন্সিল । আসছে আগামী ১০ জুলাই পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত হবে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী কাউন্সিল ২০২৪। এই কাউন্সিলকে নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা ও কথার লড়াই। বিশেষ করে আলোচনা সমালোচনা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী জহিরুল আলম জসিমকে কেন্দ্র করে তৈরী হয়েছে কারন হিসাবে দেখা হচ্ছে তার অতীত বর্তমান বেশ কিছু কার্যক্রম। এক সময় হকারী করে জীবিকা নির্বাহ করা জহিরুল আলম জসিম আজ পর্তুগালের সভাপতি! অনেকে অবশ্য জানেন না ইউরোপের মাটিতে হকারী ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ, যেটাই দেশের আইনে একপ্রকার অপরাধী হিসেবে দেখা হয় । সভাপতি হবার পর থেকে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন।নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস না থাকলেও বিন্দাস জীবনযাপন করছেন পর্তুগালের মাটিতে। বাংলাদেশ দূতাবাসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ব্যবহার করে চলে তার বিভিন্ন দালালি ব্যবসা। অতীত কোন রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও হটাৎ করেই বাগিয়ে নিয়েছিলেন সভাপতির মতো পদ । আর যে সভাপতির নামে রয়েছে পর্তুগালে প্রায় ডজনখানেক মামলা। সবার একটাই প্রশ্ন এতো গুলো মামলার আসামি কি ভাবে ঐতিহ্যবাহী একটি দলের সভাপতির আসন দখল করে থাকে? দীর্ঘ দুই যুগের বেশী দিন পর্তুগালে থাকলেও তার নানান অপরাধের কারনে এখনও নিতে পারেন নি কোন বৈধতা! নেই কোন আয়ের উৎস দিব্যি ঘুরে বেড়ায় বুক ফুলিয়ে যেখানে পর্তুগালে থাকা অনেক বাংলাদেশী রাত দিন পরিশ্রম করেও সেভাবে চলতে পারেন না সেখানে শুধুমাত্র দূতাবাসের তদবির বাণিজ্য, ব্যাক টেক্স ইত্যাদি দালালি করে টিকে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে । কমিউনিটিতে নানান সময়ে বিশৃঙ্খলা মারামারি করেছেন যার বিপরীতে তার নামে রয়েছে ডজন খানেক মামলা। মামলারগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ত্র মামলা, পুলিশের উপর হামলা, লিসবনে আধিপত্য বিস্তার ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রবাসী সাথে মারামারি কমিউনিটির সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে খারাপ আচরণ,অ্যাম্বাসিতে পাসপোর্ট করানোর নামে তদবির, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও তার নেতৃত্বে লিসবনে তৈরি হয়েছে একটি দুষ্ট গ্যাং। যাদের দিয়ে কমিউনিটির বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে খারাপ ব্যবহার, বিচারের নামে টাকা আদায় করা। এই কারণে তার উপর অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পর্তুগালে বসবাস করা বাংলাদেশীরা। পর্তুগালের বসবাস করা প্রবাসীদের একটাই প্রশ্ন এ ধরনের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ঐতিহ্যবাহী একটা দলের সাথে কিভাবে থাকে এবং তাকেই কেন সভাপতি করা হয়? উল্লেখ্য ২০১৪ সালের পর এখন পর্যন্ত এখানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি যার কারণে কমিটির মেয়াদ না থাকলেও বহাল তবিয়েতে এখন পর্যন্ত তিনি নিজেকে সভাপতি পরিচয় দিয়ে বেড়ান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পর্তুগাল আওয়ামী লীগের একজন প্রবীন ব্যক্তি বলেন, আওয়ামীলীগ হলো একটি ঐতিহ্যবাহি সংগঠন এখান থেকে নেতৃত্ব তৈরি হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে ২০১৪ সাল থেকে জহিরুল আলম জসিম সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ ১০ বছর সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তিনি নতুন কোন নেতৃত্ব বা কর্মী তৈরি করতে পারেননি! বিগত কমিটির তিন চারজন দিয়ে এবং যাদের কাছ থেকে সর্বদা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে পারেন তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে পদায়ন করে চলছে তার দশ বছরের কমিটি!
লোক মুখে শুনতে পাচ্ছি তিনিই নাকি এবারও সভাপতি প্রার্থী। তাহলে কিভাবে এখানে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে?আমরা চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। যারা আওয়ামীলীগকে সুন্দর করে সবার মাঝে গ্রহণ যোগ্য করে তুলবে। আমরা কখনো এমন নেতা বা নেতৃত্ব চাই না যাদের কারনে প্রবাসের মাঠিতে দেশের সুনাম নষ্ট হয়।