ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫,
সময়: ০৯:১০:৫৮ AM

এনসিপি”র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি–জামায়াতের যারা

স্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
10-12-2025 09:14:14 PM
এনসিপি”র  প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি–জামায়াতের যারা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দলটি বুধবার সকালে ঢাকার বাংলামোটরে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যাচাই–বাছাই শেষে এ তালিকা প্রকাশ করে। তালিকা ঘোষণা করেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ঘোষিত প্রতিটি আসনেই এনসিপির প্রার্থীদের সামনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

 

ঢাকা বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

ঢাকা-১১

 

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এমএ কাইয়ুম এবং জামায়াতের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।

 

ঢাকা-১৮

 

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী।

বিএনপির এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, জামায়াতের অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।

 

ঢাকা-৯

 

এনসিপির তাসনিম জারা।

জামায়াতের কবির আহমদ। বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।

 

ঢাকা-১৬

 

এনসিপির আরিফুল ইসলাম আদিব।

বিএনপির প্রার্থী জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, জামায়াতের কর্নেল (অব.) আব্দুল বাতেন।

 

ঢাকা-১৭

 

এনসিপির তাজনুভা জাবীন।

এ আসনে বিএনপি–জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ, যদিও বিএনপি এখনো চূড়ান্ত করেনি।

জামায়াতের প্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান।

 

উত্তরাঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা

রংপুর-৪ (পীরগাছা–কাউনিয়া)

 

এনসিপির আখতার হোসেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এমদাদুল হক ভরসা, জামায়াতের এটিএম আজম খান।

 

পঞ্চগড়-১

 

এনসিপির সারজিস আলম।

বিএনপির ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির, জামায়াতের মো. ইকবাল হোসাইন।

 

টাঙ্গাইল-১

 

এনসিপির সাইদুল ইসলাম (জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সাজিদের পরিবারের সদস্য)।

প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, জামায়াতের অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী।

 

দিনাজপুর-৩

 

এনসিপির আ হ ম শামসুল মুকতাদির।

এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা এসেছে।

জামায়াত এখানেও প্রার্থী দিয়েছে।

 

দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা

কুমিল্লা-৪

 

এনসিপির হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বিএনপির প্রার্থী চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুনশী, জামায়াতের সাইফুল ইসলাম শহীদ।

 

নোয়াখালী-৬

 

এনসিপির আবদুল হান্নান মাসুদ।

প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহবুবের রহমান শামীম, জামায়াতের অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক।

 

নরসিংদী-২

 

এনসিপির সারওয়ার তুষার।

বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, জামায়াতের মাওলানা আমজাদ হোসেন।

 

পটুয়াখালী-১

 

এনসিপির জহিরুল ইসলাম মুসা।

বিএনপির আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জামায়াতের নাজমুল আহসান।

 

পটুয়াখালী-২

 

এনসিপির মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।

বিএনপির শহিদুল আলম তালুকদার, জামায়াতের ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

 

ঝালকাঠি-১

 

এনসিপির মাহমুদা আলম মিতু।

জামায়াতের ড. ফয়জুল হক, বিএনপি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি।

 

শেরপুর-২

 

এনসিপির খোকন চন্দ্র বর্মণ (জুলাই অভ্যুত্থানে আহত)।

বিএনপির মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী, জামায়াতের গোলাম কিবরিয়া।

 

দলের বক্তব্য

 

সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন—

“কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজন হলে মনোনয়ন বাতিল করা হবে।”

 

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন—

“আমরা এবারের নির্বাচনে ‘ব্যালট রেভল্যুশন’-এ যেতে চাই। একই সঙ্গে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

 

দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া এবং সংস্কার–সমর্থনে জনমত গড়ে তোলা।

তিনি আরও বলেন—

“প্রাথমিক তালিকায় যারা জায়গা পাননি, তাদের পরবর্তী ধাপে বিবেচনা করা হবে।”

 

জুলাই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে গঠিত এনসিপি এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।