ঢাকা, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫,
সময়: ১২:১৪:২১ AM

”টিকে থাকতে হলে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হিতে হবে”

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
25-10-2025 09:16:38 PM
”টিকে থাকতে হলে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হিতে হবে”

বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করেছে। মেধাবীদের জন্য এখন বিশ্বের দরজা উন্মুক্ত। জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা এবং যোগ্যতার প্রতিযোগিতা চলছে সর্বত্র। তাই শিক্ষার্থীদের এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া জরুরি।শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাবনার ওপর স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের সুরক্ষায় প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাজিয়ে তোলা হবে।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। আর এই প্রতিভা বের করে আনতে হবে এবং সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, ঘোষিত ৩১ দফায় অংশ হিসেবে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিএনপি বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করেছে, যারা এরইমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ‘তোমরা মাদরাসা বা স্কুল- যেখানেই পড়াশোনা করো না কেন, মনে রাখতে হবে সম্মানের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে আধুনিক ও ব্যবহারিক শিক্ষায় দক্ষ হতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে হবে, কারিগরি শিক্ষায়ও হতে হবে পারদর্শী।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আগামী দিনের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে। বর্তমান বিশ্বে নিজেকে অন্যের চেয়ে দক্ষ করে তোলার যে প্রতিযোগিতা চলছে, সেখানে একনিষ্ঠতা ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির বিকল্প নেই।

তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন, মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন, সঠিক পরিচর্যা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি। তিনি বলেন, ‘মেধা সহজাত হলেও এর বিকাশের জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা।’

খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৮৪টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ২১১জন শিক্ষার্থী চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ ১০ জনসহ মোট ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী সবার জন্য সান্ত্বনা পুরস্কার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন। পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার আল আশরাফ মামুন। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।