
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, মানুষের কাছে এনসিপি যে সম্মান অর্জন করেছে, তা যেন কলঙ্কিত না হয়—সেজন্য দলটিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।শনিবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি সাধারণত অসন্তোষ প্রকাশ করি না, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাটি আমাকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। যারা ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করতে পারতেন, তারা কোনো উদ্যোগ নেননি। এত নেতা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটানো দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।এনসিপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি ঐকমত্য কমিশনের সব দাবিকে স্বাগত জানাই। যারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তারা সংলাপে ফিরুন। কোন দল কোন প্রতীক পাবে, সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে—এটি আমার বিষয় নয়। কিন্তু মানুষের চোখে আপনারা যে সম্মানটুকু অর্জন করেছেন, তা কলঙ্কিত করবেন না।তিনি আরও বলেন, গতকাল জুলাই সনদে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তারা প্রমাণ করেছেন যে তারা সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসেন এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনের বিরোধিতা করেন। বাংলাদেশে যেন আবার হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে না আসে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইলিয়াস আলীর ছোট্ট শিশুর কাঁদা চোখ আপনারা আর কেউ মুছে দিতে পারবেন না। আপনার দলের লোকজনের মাধ্যমে আমাদের ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, বহুজনকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় নির্বাচন, সে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জুলাই বিপ্লবের টার্গেট ছিল একটাই, আর তা হলো হাসিনার বিদায়, সে যেন তার বাবার নাম ব্যবহার করে আর কোনদিন রাজনীতি করতে না পারে। সে যেন মুক্তিযুদ্ধকে তার নিজের পকেটের সম্পদ বানাতে না পারে, অনির্বাচিত এমপিদের দ্বারা আর যেন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।