পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের হামলায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখর কুমার সিকদার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় উপজেলার কুড়িয়ানা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়,আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের ব্যানারে অতিথিদের নাম দেওয়া নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের সাথে সাবেক চেয়ারম্যান শেখর কুমার হালদারের দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে শেখর কুমার হালদার কুড়িয়ানা বাজারে এলে তার উপর মিঠুন হালদার সহযোগী পঙ্কজ ও শংকরসহ লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বেধরক পিঠিয়ে গুরুতর জখম করা হয় শেখর কুমারকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় স্বাধীন হালদার,শঙ্কর ও বাবুল নামের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান,ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের ব্যানারে নাম ও মঞ্চে আসন নিয়ে বিবাদের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি নেছারাবাদ) থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান,তিনজনকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। মরদেহের সঙ্গে স্বজনরা রয়েছেন সেখান থেকে তারা ফেরার পরে থানায় মামলা দায়ের করবেন। প্রসঙ্গত, গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও তৎকালীণ চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারকে হারিয়ে আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মিঠুন হালদার। ওই নির্বাচন নিয়ে তাদের দুইজনের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। এদিকে সাবেক জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারের এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য,শেখর কুমার সিকদারের বড় ভাই সমীরণ সিকদারও ৯০’র দশকের শুরুতে সর্বহারাদের হাতে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন।