ঢাকা, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪,
সময়: ০১:৪৭:০৯ AM

কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই’

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম
28-12-2024 01:47:09 AM
কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই’

আগামী নির্বাচন ইভিএমে নয়, ব্যালটে করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া করেন।তিনি বলেন, ‘‘ আজকে নাকী নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে যে, ইভিএমে নয়, সব ব্যালটেই নির্বাচন হবে। এই বিষয়ে একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করলেন আমি তাকে বলেছি যে, এটাতে আমাদের এতটুকু আগ্রহ নেই এই বিষয়গুলো নিয়ে।”‘‘ কারণ আমরা কাছে যেটা মনে হয়.. আমরা পরিস্কার করে বলেছি যে, আজকে জাতির যে সংকট সেই সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন সরকার থাকবে, কি ধরনের সরকার থাকবে সেই প্রধান সংকট। সেই কারণে আজকে গণতন্ত্র ধবংস হয়েছে, এই কারণে আমাদের যে মূল লক্ষ্য ছিলো ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মানের সেই জায়গা থেকে আমরা বহু দূর সরে এসেছি।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আমরা একমত হয়েছি, আমরা একমত হয়ে যে কথাগুলো বলছি যে, এই সরকার জনগন দ্বারা নির্বাচিত হয়, তারা গণতন্ত্রকে ধবংস করে দিয়েছে তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগনের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

‘‘ আমরা এই রাষ্ট্রের যে কাঠামো সেই কাঠামো যে জায়গাগু্লােতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেৃ সংবিধান, বিচারালয়, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন সেগুলো আবার ‍পুনরায় আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মানের উপযোগী করে গড়ে তোলবার জন্য আমরা সেইগুলোর সংস্কারের কথা বলেছি এবং সেভাবে আমরা কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, এদেশের জনগন তারা কখনোই কোনো একনায়কোতন্ত্র বা স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি। বরাবর বাংলাদেশের বীর জনগন তাদের অধিকারের জন্য, তাদের স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং সফল হয়েছে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘ আজকে বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে আমরা বিশ্বাস করি, সেই সংগ্রামে দেশের  সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং সকল মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে তারা শরিক হবেন এবং তাদের অধিকার আদায় করে নেবেন।”

‘‘ আসুন আজকে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, তারাই যে এেেদ্রশর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবার জন্যে আমরা সবাই এক যোগ হয়ে আওয়াজ তুলি- আমরা এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসি, একটা মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণ করি, সত্যিকার অর্থেই একটা কল্যাণমূলক আমরা রাষ্ট্র করি।”

দলের  নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ  মানুষ নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি ‍তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময়ে দিন তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সংগঠক, রাজনীতিক, আইনজীবী, সাংবাদিক, যারা ভিন্নমত পোষনকারী তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। একটা অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে।”

‘‘ আজকে সারা দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার। আমরা শুধু বিএনপির কথা বলছি, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলছি না, সাধারণ মানুষও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।আপনারা নিশ্চয়ই জানেন নওগাঁয়ে একজন নারীকে বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩৬ ঘন্টা পরে মিথ্যা মামলা দেখিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেয়া হলো, দেখলাম সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হলো.. ।”

সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদের সন্মানে বিএনপি এই ইফতার পার্টি দেয়।

এই ইফতারে দীর্ঘ ১৬ বছর জাতীয় পার্টি সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম অংশ নেন।

এছাড়া আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যে এলডিপির অলি আহমেদ, জেএসডির আসম আবদুর রব, তানিয়া রব, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ফোরকান ইব্রাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, বাংলাদেশে এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নুরুল আমিন বেপারী, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, এনডিপির আবু তাহের, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, মাইনোরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি মন্ডল, সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমূখ ছিলেন ইফতারে।