ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সময়: ১২:৩৮:৫৭ AM

ধ্বংসের দিকে শেরেবাংলা মহাবিদ্যালয়

স্টাফ রিপোর্টার ।।দৈনিক সমবাংলা
22-11-2024 12:38:57 AM
ধ্বংসের দিকে শেরেবাংলা মহাবিদ্যালয়

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলির কারনে ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। রাজধানীর টিকাটুলি শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় । যে বিদ্যালয়টিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছড়াও বাংলাদেশের অনেক বড় বড় শিক্ষবিদ লেখাপড়া করেছেন। স্থানীয় একজন আওয়ামীলীগ  নেতা ও  আওয়ামীলীগ নেতা এবং শিক্ষক রাজিব দাস  এবং এদের অনুসারী তিন চার জন শিক্ষকের রোষানলে পরে স্কুলটির সভাপতির পদ হারাতে হয়েছে রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে। তার বিরুদ্ধে বেশকিছু কুৎসিত,নোংরা অভিযোগ রটিয়েছেন ঐ চক্রটি । এখনও থেমে নেই এরা  । তারা রিয়াজ উদ্দিনের সময়কালে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদেরকেও তাড়ানোর জন্য উঠেপরে লেগেছেন। জুনিয়র শিক্ষকদের অহরহ গালমন্ধ এমনকি মারধরও করেছেন একজন শিক্ষককে। কুৎসা রটাচ্ছেন ।সোমবার দুপুরে ঐ জুনিয়র শিক্ষকদের চাকুরি  চ্যুতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঐ স্কুলের শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার,সৈয়দা মেহনাজ ,রেখা মন্ডল ও রাজিব দাসসহ প্রায় ১০/১২ জন শিক্ষক । মানবন্ধন কালে এ প্রতিবেদক আকলিমা আক্তারের কাছে ১০জন শিক্ষকদের চাকুরি চ্যুতির দাবি কেন ও যৌক্তিকতা কি জানতে চাইলে বলেন, তারা এই প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবে না। তাদের চাকুরি চ্যুতি করতে হবে।পাল্টা আকলিমা আক্তারকে প্রশ্ন  করে বলা হয় আপনিও শিক্ষকতা করেন, যাদের চাকুরিচ্যূতির দাবি করছেন তারাও শিক্ষক তাদের অপরাধ কি।  জবাবে বলে তাদের নিয়োগ দিয়েছে রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ। এটা বেআইনি।। প্রতিবেদক পাল্টা প্রশ্ন  করে জানতে চান, তারা যোগ্যতার বলেই চাকুরি পেয়েছেন।  তারপরও এ দাবি আপনি তুলতে পারেন কি না। যদি কোন শিক্ষক অপরাধ বা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে তা হলে ঐ স্কুলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ রয়েছে তাদের বরাবরে অভিযোগ দিতে পারেন। আপনারা শিক্ষক হয়ে অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে অশ্লালিন কথাবার্তা বলছেন তা বলতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, না আমরা সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে বলছি। প্রশ্ন:-  উনি তো এখন নাই, তার পরও উনার বিরুদ্ধে কেন আপনাদের এই আন্দোলন এর উত্তরে রাজিব দাস বলেন, রিয়াজ সাব টাকা পয়সা লুটপাট করছে স্কুলের । প্রতিবেদক তখন জানতে চান সেটা তো আপনার দায়িত্ব নয় ? এটা দেখবে শিক্ষা মন্ত্রনালয় । আপনি কেন এই দায়িত্ব নিলেন রাজিব সাব। কোন উত্তর দিতে পারে নি রাজিব দাস।

জানতে চাওয়া হয় আকলিমা আক্তারকে ,তিনি  ফাতেমা নামে এক শিক্ষিকাকে মারধর করেছেন । এটা কি ঠিক ? উত্তরে আকলিমা বলেন, এ ব্যাপারে আমি জানিনা।আপনারা সৈয়দা মেহনাজ,আকলিমা আক্তার ও রেখা মন্ডল  তিনজন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ সাহেবের মোবাইল নিয়ে আটকিয়ে রাখেন এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন উনি তো রিয়াজের লোক। প্রতিবেদক জানতে চান উনি অধ্যাক্ষ আর আপনি সাধারন শিক্ষক আপনারা যদি অধ্যাক্ষকের সাথে এমন আচারন করেন তা হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের জন্য কি আপনারা দায়ি নয়। বলেন না।এ ব্যাপারে কলেজটির অধ্যাক্ষ  মো: তোফায়েল আহমদ এর কাছে জানতে চাইলে বলেন  একজন শিক্ষক হয়ে আর একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অনৈতিক,অশালিন কথা বলতে পারে না। কোন অভিযোগ থাকলে তারা সভাপতি বা জেলা প্রশাসক স্যারকে বলতে পারতো। কেন এমন করছেন তারা জাানিনা। তবে আজকে আমাদের কয়েকজন শিক্ষক প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে যা করেছেন বা বলেছেন তা স্কুলের সুনাম একেবারে ধ্বংস করেছে। ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে।  একজন শিক্ষক হয়ে এরকম কাজ করা উচিত হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহাদয় দেখবেন।