ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪,
সময়: ০৮:২২:১৮ AM

সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে:ফখরুল

স্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
29-11-2024 07:14:04 PM
সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে:ফখরুল

সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের ছাত্র কনভেনশন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পতিত স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেটা অর্জন করেছি সেটা যেনো বৃথা না যায়। কারণ সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিমুহূর্তে একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে সেটাকে সারাবিশ্বে দেখাতে চায়, বাংলাদেশ নাকি মৌলবাদীদের দেশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের পত্রপত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেনো বাংলাদেশে এসব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে। ঘটনা তো তা না। তাহলে কারা করছে? কেন করছে?তিনি বলেন, আমি কথাগুলো এইজন্য বলছি যে, আমাদের এই আনন্দে থাকার অবকাশ নাই যে আমরা জিতে গেছি, সব হয়ে গেছে। আমাদের মাথার ওপর খড়্গ এখনো আছে। নতুন করে তারা চেষ্টা করছে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবার। সেজন্য সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কোনো রকম হঠকারিতা, কোন বিশৃঙ্খলা যেনো কেউ করতে না পারে সেটাকে রুখে দিতে হবে।

 

বিএনপির মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি খুব কষ্ট পাই যখন দেখি ছেলেরা কলেজে কলেজে মারামারি করছে। যখন এত বড় বিজয়, ইতিহাস করলে তখন আমাদের দেখতে হবে সোহরাওয়ার্দী-মোল্লা কলেজ মারামারি করে রক্তাক্ত হচ্ছে এটা তো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে অসাধারণ কাজ করেছো, দানবের থেকে দেশকে রক্ষা করেছো- এটা ছোট কথা নয়। আমরা এখনো কিন্তু সে ক্রান্তি পার হয়নি, এখন একটা ধাপ গেছি। ছাত্ররা যখন বুক পেতে দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে তখনই মুক্তি এসেছে। আমাদের মুক্তির ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্ররা।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই আন্দোলনে সবার আগে ছাত্রদের নাম। তবে কতজন রিকশা চালক, শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে তাদের খবর রাখি না। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম ছাত্রদের দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্রায় ৪০ শতাংশই শ্রমিক। তাদের খবর রাখাটাও আমাদের জন্য জরুরি।

তিনি বলেন, আমরা একেবাইরেই জীবনের শেষ প্রান্তে, একটায় আশা ছিল যেনো জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারি দানবের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমি আশঙ্কায় ছিলাম বেগম খালেদা জিয়া কি দেখে যেতে পারবেন দেশ মুক্ত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ তিনি দেখে যেতে পেরেছেন।