রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল প্লাস্টিকের পন্য, প্রসাধনী সামগ্রী, শিশু খাদ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা; ১ জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড।র্যাব-১০ এক প্রেস বিজ্ঞপিতে জানান গতকাল ২৬ সেপ্টম্বর বুধবার সকাল ১০ টা থেকে আজ ২৭ সেপ্টম্বর সকাল ৫ টা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল প্লাস্টিকের পন্য, প্রসাধনী সামগ্রী, শিশু খাদ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান এবং অনাদায়ে এক জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। যার মধ্যে মাইশা এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ৪ লক্ষ টাকা, কামাল প্যাকেজিং’কে নগদ- ৪ লক্ষ টাকা, বকুল প্যাকেজিং কোম্পানী’কে নগদ- ৪ লক্ষ টাকা, র্যামন ফ্লাওয়ার মিলস্’কে নগদ ৩ লক্ষ টাকা, এ.এম.জেড ফুড এন্ড বেভারেজ’কে নগদ- ৪ লক্ষ টাকা, শেখ ফরিদ মার্কেটিং লিমিডেট’কে নগদ- ৪ লক্ষ টাকা, ইএসপিএন ক্যাবল’কে নগদ- ২ লক্ষ টাকা, ক্লাসিক কর্পোরেশন পিভিসি’কে নগদ- ২ লক্ষ টাকা, আনন্দ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’কে নগদ- ২ লক্ষ টাকা, মনি প্লাস্টিক হাউজ’কে নগদ- ২ লক্ষ টাকা, রিমি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’কে নগদ- ৫ লক্ষ টাকা ও চমক স্টার্ট পলিমার ইলেকট্রিক পাইপ’কে নগদ- ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত মোবাইল আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা মূল্যের নকল প্লাস্টিকের পলিথিন জব্দ করার পর ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল প্লাস্টিকের পন্য, প্রসাধনী সামগ্রী, শিশু খাদ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।