ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫,
সময়: ০২:৩২:৩৬ AM

শেখ হাসিনাসহ ১৭২ জনের নামে মামলা

শেখ হাসিনাসহ ১৭২ জনের নামে মামলা
24-10-2025 08:45:54 PM
শেখ হাসিনাসহ ১৭২ জনের নামে মামলা

বগুড়ায় সংঘটিত এক ঘটনার দেড় বছরেরও বেশি সময় পর সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।গত বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শহরের নাটাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আরাফ, তিনি মিজানুর রহমানের ছেলে। মামলায় আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাবেক নারী সংসদ সদস্য ডরোথী রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি খাদিজা খাতুন শেফালি, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী শাহাজাদি আলম লিপি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাফি মহায়মেন, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বাদশা, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মানানের ভাই রাজু ওরফে এসি রাজু, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু এবং কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকার।

এছাড়া আরও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিককেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় বগুড়া সদর, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, শাজাহানপুর, ধুনটসহ রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলার কয়েকজনের নামও উল্লেখ রয়েছে।

মামলার বাদী আরাফ অভিযোগ করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট দুপুরে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি বড়গোলা সড়কে মিছিল পৌঁছালে আসামিরা লাঠিসোঁটা, রড, হকিস্টিক, ধারালো অস্ত্র, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তার শরীরে ৪৩টি গুলি বিদ্ধ হয় বলে অভিযোগ করেন।

তিনি আরও জানান, আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বনানী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর তিনি পুনরায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, “মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”