
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (ICT-1) বুধবার (২৩ অক্টোবর) জুলাই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুইটি গুম ও একটি হত্যাকাণ্ড মামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন现বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা এর আগে সেনা হেফাজতে ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালত চত্বরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আসামিদের সবুজ রঙের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) প্রিজন ভ্যানে আনা হয়।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন,
“ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছেন। এখন সরকার ও জেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে—তাদের কোথায় রাখা হবে।”
কারাগারে পাঠানো ১৫ কর্মকর্তার নাম:
-
মেজর জেনারেল শেখ মো. সারোয়ার হোসেন
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক
-
কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান
-
কর্নেল একেএম আজাদ
-
কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
-
কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম
-
মেজর রাফাত বিন আলম মুন
পরবর্তী শুনানির তারিখ:
-
হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি: ৫ নভেম্বর
-
দুটি গুম মামলার শুনানি: ২০ নভেম্বর
পটভূমি:
এর আগে ৮ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এবং তৎকালীন র্যাবের তিনজন সাবেক মহাপরিচালকসহ মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এসব পরোয়ানা জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ও সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের প্রেক্ষিতে জারি করা হয়।
এই বিচারপ্রক্রিয়া বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ও সামরিক তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।