বরিশালের বানারীপাড়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কসহ ৬ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সবুর খান,তার ছেলে সুজন খান ও আব্দুল্লাহ আসিফ খান, ভাগ্নে উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব হাসিবুল ইসলাম সুমন, যুবদল নেতা সুমন বেপারী ও যুবদল কর্মী রাসেল। জানা গেছে, ১ জুলাই শনিবার বিকেলে বাইশারী ইউনিয়ন যুবদল নেতা সুমন বেপারী শিয়ালকাঠি খেয়াঘাট এলাকার রুবেলের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান তার চায়ের বিল দিতে চাইলে সুমন বেপারী বলেন, আপনার চা আমার কাছে বিষের মতো। দলের প্রতিটি কমিটিতে ভাই ও ভাগ্নেসহ আত্মীয়-স্বজনদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছেন আপনার কারনে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা কোন কমিটিতে ঠাঁই পাচ্ছেন না। এসব নিয়ে সেখানে তাদের দু’জনের মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠি খেয়াঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা মন্টুর চায়ের দোকানের সামনে বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর খান ও তার ভাই বাইশারী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি ছগির খান, ছেলে সুজন খান ও আসিফ খানসহ ১৫-২০ জনের একটি দল সুমন বেপারীকে খুঁজতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তাকে পেয়ে রড ও লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকেন। এসময় সেখানে সুমন বেপারীর সঙ্গে থাকা জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক এস এম তারেক সরদার, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক জুয়েল লস্কর, জেলা জিয়া মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক মিলন বেপারী,বাইশারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মিজান বেপারীর সঙ্গে বিএনপি নেতা সবুর খান ও তার লোকজনের সঙ্গে সংর্ঘষে বেধে যায়। এতে দুই পক্ষের ৬ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আব্দুস সবুর খান বলেন, আমার জন্য নাকি ওরা দলের পোষ্ট পায়নি তাই আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার দুই ছেলেসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছি।
এদিকে এ সংর্ঘষের ঘটনায় ২ জুলাই রোববার বানারীপাড়া থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, দুটি লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।