বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ একটি ঐতিহ্য বাহী উপজেলা, বাকেরগঞ্জ কে চিনেনা এমন মানুষ এই বাংলায় খুব কম আছে । এই উপজেলার একটি অতি জনবহুল ইউনিয়ন ১৪নং নিয়ামতি ।উক্ত ইউনিয়ন এর ৭নং ওয়ার্ড চামটা (খাস মহেশপুর) শেষ সীমানা এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা বেতাগী এর ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নের ডিসিরহাট নামক গ্রাম এর মাঝখান দিয়ে আশরাফ আলী হাওলাদার বাড়ির সামনে বয়ে চলা ছোট খালের উপর একটা ব্রিজ ,যা দুই গ্রাম এর মধ্য সংযোগ রক্ষা করে । স্কুল ,কলেজ , বাজার ইত্যাদি নানা কারনে মানুষ এই খাল পার হয় ।প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৭ হাজার মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করেন । দুঃখের বিষয় স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে লোহার কাঠামোর ওপর কংক্রিটের স্লাব দিয়ে প্রায় ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে ভেঙ্গে ব্রিজ টি সম্পূর্ণ রুপে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরে । দুই গ্রামের বাসিন্দারা নিজ উদ্যগে নিজ অর্থায়নে তাৎক্ষণিক ভাবে বাঁশের সাকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন । সেই থেকে আজ পর্যন্ত ব্রিজ এর বদলে সাকো দিয়া মানুষ খাল পারাপার করছে যা ঝুঁকিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ অমানবিক । বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য, ব্রিজ টি এখন যেন মরন ফাঁদ ।
প্রথম শ্রেনীর নিরপেক্ষ জাতীয় বার্তা সংস্থা ’’বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট (বিএনএ) ’’ এর একটি টিম সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর লোহার পিলারগুলো দেবে গেছে, দুয়েকটি হেলেও পড়েছে। এ ছাড়া পিলার ও রেলিংয়ে মরিচা ধরে জারাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর ওপরের অধিকাংশ কংক্রিটের স্লাব ভেঙে মরিচা ধরা রড বের হয়ে গেছে। অবস্থা এমন হয়েছে সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচল করাই মুশকিল, যানবাহন তো দূরের কথা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সেতুর উত্তর পাড়ে মহেশপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, ডোরখালী দাখিল মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর দক্ষিণ পাশে ডিসির বাজার ও বেগম লুৎফুন্নেছা ব্রিট মেমোরিয়াল স্কুল। এসব প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পার হতে হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেতু পারাপারে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রসূতি ও তার স্বজনদের। কৃষকসহ স্থানীয়রা বাজারে পণ্য আনা-নেওয়া করতে সমস্যায় পড়েন। ব্যবসায়ীরাও তাদের মালামাল নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আশরাফ গ্রুপ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম নামে একজন জানান, ২ যুগ হতে চলল সেতুটির এমন বেহাল অবস্থা। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা আশার বাণী শোনালেও পরে আর খোঁজ রাখেন না। নতুন সেতু নির্মাণ বা সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না । স্থানীয় (ইউপি) সদস্য মোঃ আবুল কালাম তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেতু দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী চলাচল করে। গত ২ যুগ হতে চলল সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। নারী, শিশু ও প্রবীণদের চলাচলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। , (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরেব কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উপজেলার মাসিক সভায় বিষয়টি একাধিকবার বলা হয়েছে। এখানে নতুন সেতু নির্মাণের চেষ্টা চলছে। এবং বিষয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল আলম (চুন্নু)রকাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতুটি মেরামত অথবা পুনর্র্নিমাণের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ও বাকেরগঞ্জ এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খাস মহেশপুর ডিসির বাজার খালে সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। পাস হলে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এবিষয় স্থানীয় বাসিন্দারা জানান আজ ২০২৩ সাল ১৬ বছর ২ যুগ হতে চলল । এমপি, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান , মেম্বর , কত নেতা এলেন আর গেলেন এবং দিলেন ওয়াদা । কিন্তু সামান্য একটা খালের উপর ব্রিজ এখনও সংস্কার করা গেল না কিংবা করতে পারলেন না ওনারা । ভোট চাওয়ার সময় ওয়াদা ঠিকই করেন কিন্তু ভুলে যান । যে জাতি এত বৃহৎ প্রজেক্ট পদ্মা সেতু নিজ অর্থে করতে পারে ,সেই জাতি এই ছোট্ট একটা ব্রিজ সংস্কার করতে পারবে না , এটা বিশ্বাস করা কি সম্ভব ? চামটা ও ডিসিরহাট দুই গ্রাম মিলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস ।সামনে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন । এলাকার নেতারা ভোট চাইতে আসবেন নিশ্চয় । কিন্তু কোন মুখে আসবেন ? আপনাদের কি একটু লজ্জা করবে না ? আমরা খুব ভাল ভাবে বুঝে গেছি আপনাদের দারা এই সমস্য সমাধান করা সম্ভব নয় । কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার মা জননেত্রি শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের রয়েছে অবিচল আস্থা এবং ভালবাসা । অবহেলিত গ্রাম এর শিশু বয়স্ক মানুষ এবং সর্বোপরি সাধারন জনগনের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রি এবং আপনার সুযোগ্য মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রি মহাদয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকা বাসী ।