বরিশাল প্রকাশক ও সম্পাদক পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ বলেছেন, আমি বিজয়ী হলে বরিশাল নগরীকে চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট মুক্ত নগরী গড়বো। বরিশাল নগরীতে বহুবিধ সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে। আপনাদের সহযোগীতা পেলে সমাধান সম্ভব। এখানে দীর্ঘদিন ধরে হিংসা বিদ্বেষের রাজনীতির চর্চা হয়েছে। এখানে কোন সামাজিক দায়িত্ববোধ ছিলোনা। আমি অঙ্গিকার করতে পারি আমি এখানে হিংসা বিদ্বেষের রাজনীতি করবোনা। ইতিহাস থেকে অনেকে শিক্ষা নেয়না, অনেকে মৌলিক শিক্ষা নেয়না। আমি আমার বাবা থেকে মৌলিক শিক্ষা পেয়েছি। আমার মামা ও বাবাকে কাছ থেকে দেখেছি। তাদের আদর্শ ধারন করে কাজ করবো সমাজের জন্য, মানুষের জন্য। খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আমি জানি এখানে অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন। অনেকের ওপর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো যা দায়িত্বশীল লোকদের কাজ না। আমি এর পুনরাবৃত্তি করবোনা, আমি এই শিক্ষা পাইনি। আমার দায়িত্ব রয়েছে এই নগরীর জন্য কিছু করার। আমি নির্বাচিত হলে সকলের মতামত নিয়ে সমস্যার সমাধান ও উন্নয়ন করবো। আমার দীর্ঘ জীবনে কেউ আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকারের অভিযোগ দিতে পারেনি। আমি চাঁদাবাজী বা কোন অন্যায় করেছি তা কেউ বলতে পারবে না। নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করেছি। পোর্ট একটি অর্থনৈতিক শ্বাস-প্রশ্বাস এর জায়গা। সেখানে সৎভাবে কর্ম করেছি। এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। চার বছর নির্বাসনে থাকার পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে যখন গেলাম নেত্রী আমাকে বিশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আমি তখন সিএন্ডএফের লাইসেন্সটি করি ওই টাকা দিয়ে। একথা বলার সময় তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি মেট্টিক পাশ করেছি। তবে আমার দুটি সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছি। আমি রাজনৈতিক কারনে বাস্তবতায় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারিনি। আমি ১৫ আগষ্ট গুলিবৃদ্ধ হয়েছি। আমি কাজ করতে চাই। সিন্ডিকেট থাকবেনা। আমি অঙ্গিকার করছি যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তা থাকবেনা আপনাদের সহযোগীতা পেলে। সহাবস্থান থাকবে বরিশালে। জনগনের সেবা করতে চাই যদি আপনারা সুযোগ দেন। খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, যে যার উপযুক্ত নয় তা পেলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি আমি নির্বাচিত হলে এ দুর্ভোগ থাকবেনা। দিনের বেলা আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল মিলনায়তনে ৬ মে শনিবার সকাল দশটায় মতবিনিময় সভায় পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও আজকের পরিবর্তন সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মিরাজ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সহ সভাপতি ও জাগো নারীর সম্পাদক গোপাল সরকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সময়ের বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক লোকমান হোসাইন, দেশ জনপথ পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক মীর্জা রিমন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাংলার বনে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী, সহ সভাপতি দৈনিক কীর্তনখোলা পত্রিকার সম্পাদক সালেহ টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের সুন্দরবন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মুজিব ফয়সাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলোকিত বরিশাল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আলাল মিয়া, গন যোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সংবাদ সকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কেএম শামছুদ্দোহা, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এম.এম আমজাদ হোসাইন, এ.এফ.এম আনোয়ারুল হক সাব্বির, মাহফুজুর রহমান সুজন প্রমুখ।