ঢাকা, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪,
সময়: ০৮:৫৬:৪৯ AM
ব্যতিক্রমী আন্দোলনের নাম জামায়াত:সেলিম উদ্দিন শেখ হাসিনা ও কাদেরের প্রতীকী ফাঁসি সোমবার অক্টোবরে রেমিট্যান্স এলো ২৮৮০০ কোটি টাকা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানি’র ফ্যাসিবাদ নির্মূলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে:ফখরুল ঢাকাস্থ বি-বাড়ীয়া ফোরামের সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘ঋণের টাকায় অস্ত্র কিনে মানুষ হত্যা হাসিনার’ বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা ৭৪৭ পুলিশ চিহ্নিত প্রতিবেশীর সঙ্গে নতজানু ছিলেন শেখ হাসিনা:রিজভী আলেমেরা ঐক্যবদ্ধ হোন:রফিকুল ইসলাম খাঁন হাসিনার শাসন ছিল লুটপাট ও সন্ত্রাসের:এটিএম মাসুম জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর কমিটি ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা কয়লা নেই,উৎপাদন বন্ধ মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা প্রধান উপদেষ্টার সহিংসতায় নিহত ৭০০,আহত ১১ হাজার সমবায় অধিদপ্তর সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি গণহত্যাকারী হাসিনার কোন ক্ষমা নেই:ফখরুল বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত কচুক্ষেত রণক্ষেত্র বিশেষ উদ্দেশ্য কিনা:জামায়াত ৭ নভেম্বর ঘিরে ১০ দিনের কর্মসূচি বিএনপির বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি,ঢাকা ১৫তম অবস্থানে বাংলাদেশে আ'লীগের জায়গা হবে না:ড.ইউনূস খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা-৩ নিজস্ব প্রযুক্তিতে আয়রন ডোম বানাবে তুরস্ক গণহত্যা মামলায় সাবেক ডিসি জসিম গ্রেপ্তার ইসি পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি প্রধানের নাম ঘোষণা গৃহপালিত হয়ে নৌকায় চড়ে তীরহারা লাঙ্গল
পর্তুগাল লিসবনে গঠিত হলো সাহিত্য সংসদ খণ্ডকালিন শিক্ষকদের অত্যাচারে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ইফাত মতিউরেরই ছেলে:নিজাম হাজারী বিদেশেও ক্রিকেট প্রেমীরা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে নিত্যপন্য সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো ৯ টাকা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ পর্তুগালে কুমিল্লা উত্তর কমিউনিটির কমিটি গঠন মেহেরপুরে জনতা ব্যাংক শাখা উদ্বোধন সমকাল সম্পাদক হলেন এ হোসেন আজ লাবলুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় শেষ জীবনে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন বেয়ারস্টো নির্বাচনকে সামনে রেখে মত বিনিময় ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন জার্নালিস্ট সভাপতি পার্থ ও সম্পাদক রোহান গুণীজনদের একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র এখনো ‘অটুট আছে’বাইডেন খালেদা’র রোগমুক্তি কামনায় পর্তুগাল স্বেচ্ছাসেবক দল নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিরীন চৌধুরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে তলব হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে মির্জা ফখরুলকে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাব্বিরকে ফাঁসানোর চেষ্টা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন বেয়ারস্টো বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ফুটবল দলবদলে নতুন রেকর্ড ‘নিউ ইয়ার এ জিতবে সবাই’ রিয়েলমি কেনার সুযোগ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন বেয়ারস্টো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ বিদায় দ. আফ্রিকা টিকলো বাংলাদেশ

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনার দেওয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় যমুনায় প্রবেশ করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলটি। নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।সেদিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের বরণ করে নিতে বাফুফে ভবনে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বিকেল ৪টায় বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে রওনা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছে সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।
বাফুফে ভবনে পৌঁছলে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ফুটবলারদের বরণ করার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সাফজয়ী বীরদের মোট এক কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাৎক্ষণিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে।

বাউল বেশে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে বেড়ান দিনা মন্ডল। মায়াবী সুরে মাতোয়ারা করে তুলেন দর্শকদের। বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে-গেয়ে মঞ্চ মাতান এই শিল্পী। এভাবেই সুরে সুরে অল্প সময়েই পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। স্বপ্ন তার আকাশ ছোঁয়ার। দর্শকদের ভালোবাসায় নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে প্রথম সারিতেই তার স্থান। দিনাজপুরে জন্ম এই বাউল শিল্পীর। জেলার নামের সঙ্গে নিজের নাম দিনা! এ যেন এক অদ্ভূত মিল। ছোট বেলা থেকেই সুরের প্রতি ঝোক ছিল তার। সময় পেলেই সুরের ছন্দে মেতে উঠতেন। তবে সেই সুর যে তাকে এতো দূর নিয়ে আসবে তা ভাবতেই পারেননি কখনো। সুরেই এনেছে জীবনের পরিবর্তন, সুরই দিয়েছে প্রিয় মানুষকে কাছে পাবার ঠিকানা। সংগীতের আবহেই বেড়ে ওঠা দিনার। ছোট বেলা থেকেই গান শিখতেন,গানের জন্য দাদী আরজিনা বেগম ও নানা আকবর আলী পারিবারিক সহযোগীতা করেছেন। বাউলের সঙ্গে শিখেছেন নজরুল সংগীতও। গানের তার প্রথম শিক্ষক ছিলেন নজরুল সংগীত শিল্পী ছিলেন মুজিবুর রহমান। 

লালন গানের গুরুমুখী বিদ্যায় দীনার ওস্তাদ বাউল শাহাবুল। তার কাছ থেকেই গানের দীক্ষা নেয়া। দিনার দাদাগুরু হলেন বাংলার প্রখ্যাত শিল্পী শফি মন্ডল। চলার পথে এই শিল্পীর স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছেন দিনা। আর এতেই চলার পথ হয় আরো প্রসারিত।  শফি মন্ডল বলেছেনও তার যোগ্য উত্তরসূরীদের মধ্যে একজন হবেন এই দীনা। 

জীবনের গল্পে হয়তো এতো কিছু কখনো আশা করেননি দিনা মন্ডল। প্রথম জীবনে অবশ্য তার নাম ছিল দিলরুবা। সময়ের আবর্তনে দর্শকপ্রিয়তায় নাম বদলে হয়েছেন দিনা। সেই দিলরুবা আর এখনকার দীনার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। দিনা মন্ডল নাম হয়েছে মিসকিন শাহর দরবারে গিয়ে। তার গানে মুগ্ধ হয়ে আকবর আলী নামে এক লোক এই নাম দিয়েছিলেন ভালোবেসে।  গান শেখার পথে কলেজ জীবনে ইয়াকুব আলী নামে এক শিক্ষকের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন দীনা। যার কাছ থেকেও শিখেছেন অনেক কিছু। 

গ্রামের সহজ-সরল অচেনা মেয়েটি আজ শহুরে ঝলকানো আলোতে সবার পরিচিত মুখ। তাকে এক নজর দেখতে আর সুরের মায়ায় হারিয়ে যেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ। কণ্ঠে মায়াবী রসে ভরপুর। শুনলেই যেন হারিয়ে যাওয়া হয় ভাবের দুনিয়ায়। সম্প্রতি কুষ্টিয়ার লালন মেলায় গান করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন দীনা। বিমোহিত করেছেন দর্শকদের। মায়াবী সুরে মাতোয়ারা ছিলেন সব ভক্ত অনুরাগীরা।  


তার গাওয়া গানের মধ্যে ‘কেন এতা মায়া মায়া লাগে, যে মারলো এই বুকে ছুরি, তার পেছনে কেন ঘুরি, এখনো সেই বৃন্দাবনে, যদি তরীতে বাসনা জাগে, সুখে থাকো সুজন বন্ধু, জীবনের ঐ পারে যদি আরেক জনম থাকে, শ্যাম তুমি লীলা বুঝো মন বুঝো না, পাষাণ বন্দুরে, গুরু বিনে  গানগুলো পেয়েছে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা। 


শুরুটা অবশ্য খুব বেশি দিনের না দীনার। অল্প সময়ের মধ্যেই গানের ভুবনে অবস্থান করে নিয়েছেন। জানান দিয়েছেন নিজের ভেতরকার প্রতিকার। আর এ নিয়েই পেয়েছেন আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা।

পেশাদারিত্বের সঙ্গে গানের শুরু ২০২০ সাল থেকে। তবে সে যাত্রা অনেকটা আটকে দেয় করোনা। তবুও থেমে থাকেননি দিনা। অনলাইনে করে গেছেন গানের আসর। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছন্দে ফেরান নিজেকে। স্টেজ পারফর্ম করে আসতে থাকনে আলোচনায়। নজর কাড়েন সবার। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তার মায়াবী সুর। আসতে থাকে গানের আরও বায়না। সেই যে তার পথ চলা আর থামতে হয়নি তাকে।


লালনগীতি, পল্লীগীতি, বাউল, মলয়া, রাধা-কৃষ্ণের প্রেম লীলা, বিচ্ছেদসহ সব ধরণের গানেই সমান পারদর্শী দিনা। সব গানেই তুলেন মায়াবী এক সুর। সেই সুরে যেন হারিয়ে যাওয়া যায় ভাবের দেশে। পাগলপারা সুরের মূর্ছনায় হৃদয় জয় করেছেন ভক্তদের। 


তার এই অগ্রযাত্রার পেছনের কারিগর তার স্বামী মাহতাব হোসেন। অনুপ্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন দীনাকে। সার্বিক সফরযাত্রী হিসেবে কোন গান কখন মানুষের মন জয় করবে সেই দিকনির্দেশনা দেন তিনি। 

কথা হয় তার স্বামীর সঙ্গে। মাহতাব বলেন, ‘দিনাকে আমি সর্ব্বোচ্চ জায়গায় দেখতে চাই। এ জন্য যা করার দরকার আমি করবো। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি তাকে গানের জগতেই রাখবো। তার সুরে অদ্ভূত এক মায়া রয়েছে। সেই ভুবন ভুলানো হাসি আর সুরে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে গানের জন্য ফোন করা হয়, এমনকি দেশের বাইরেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে, সেখান থেকেও আসছে গানের প্রস্তাব।’

 

গানের প্রসঙ্গে কথা হয় দিনা মন্ডলের সঙ্গে এই শিল্পী বলেন, দর্শক-শ্রোতাদের ভালোবাসার কারণেই আজকে আমি দিনা। দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী আমার গান শুনেন এবং ভালোবাসা দেখান।
পিছিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল জীবনে কিন্তু অনেক বাঁধা আসলেও গান ছাড়িনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার কণ্ঠে সুর থাকবে।


তিনি আরও বলেন, সুরের সাথেই আমি থাকতে চাই। এই পর্যন্ত আসার পেছনে আমার স্বামীর ভূমিকাও অনেক। তিনি আমাকে গান থেকে দূরে সরিয়ে দিলেও পারতেন। কিন্তু তা না করে আমাকে আরো সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে নিন্দুকেরা আমার চলার পথ থামিয়ে দিতে চেয়েছিল, অদম্য চেষ্টার আর সাধনার বলে আমি এখনো টিকে আছি। দেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসছে, এরচাইতে বড় পাওনা শিল্পীর জীবনে আর কিছুই থাকতে পারেনা। অনেক বড় বড় জায়গাতে গান করার সুযোগ হয়েছে আমার। জীবনে সব পেয়েছি। কোনো একদিন বিশ্ব দরবারে বাংলার সুরকে ছড়িয়ে দিতে চাই আমি।