১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে বিজয় দিবস। জাতি পালন করছে বিজয়ের ৫৩ বছর।এদিন সকালে সুসংবাদ দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ১০ রান। ক্রিজে ছিলেন স্বাগতিকদের মূল ভরসা রোভমান পাওয়েল। দারুণ ব্যাটিংয়ে একাই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ ওভারের তৃতীয় বলে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর পঞ্চম বলে আলজারি জোসেফকে বিদায় করেন তিনি। আর তাতে ১৪০ রানেই থামে উইন্ডিজের ইনিংস।তবে বাংলাদেশের জয়টা আরও সহজ হতে পারতো। ৬১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু অষ্টম উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন রোভমান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ড। তবে ম্যাচের ১৮তম ওভারে তাসকিন শেফার্ডকে ফেরালে জুটি ভাঙে। আর শেষে হাসান মাহমুদের দুই উইকেট তুলে নিলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায়। ব্র্যান্ডন কিংকে আউট করে শুরুটা করেন তাসকিন। পরের ওভারে শেখ মেহেদী নিকোলাস পুরানকে আউট করলে ২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। তবে তানজিম সাকিবের করা চতুর্থ ওভারে আসে ২৫ রান। তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন জনসন চার্লস।
চার্লসকে অবশ্য বেশিদূর যেতে দেননি মেহেদী। ১২ বলে ২০ রান করে মিড অফে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন চার্লস। এরপর ক্রিজে নতুন আসা আন্দ্রে ফ্লেচারকে দাঁড়াতেই দেননি মেহেদী। এক বলে পরে ৭ রান করা চেজ কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলে ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। পাওয়েল ও গুড়াকেশ মোতি বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করলেও তানজিম সাকিব তা হতে দেননি।
৫৯ রানে ৬ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ২ রান যোগ করতেই হারায় আরও এক উইকেট। সেখান থেকে টেনে তোলেন পাওয়েল ও শেফার্ড। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাওয়েল। ১৮তম ওভারে এসে প্রথম বলেই ২২ রান করা শেফার্ডকে আউট করেন তাসকিন। আর তাতেই পাওয়েলের সঙ্গে তার ৬৭ রানের জুটি ভাঙে। আর শেষ ওভারে ৩৫ বলে ৬০ রান করা পাওয়েল ফিরলে আশা শেষ হয় উইন্ডিজের।
বাংলাদেশের এই জয়ে বড় অবদান রেখেছেন শেখ মেহেদী হাসান। ব্যাট হাতে ২৬ রান করার পর বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তিনি। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশের লড়াই করার মতো পুঁজি পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন তিনি। এছাড়া জাকের আলী অনিক ২৭ বলে করেন ২৭ রান। শেষদিকে শেখ মেহেদীর ওই ইনিংস ছাড়াও ১৩ বলে ২৮ রান করা শামীম হোসেন পাটোয়ারী রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মেহেদী। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী ১৮ ডিসেম্বর। এরপর শেষটি হবে ২০ ডিসেম্বর। সবগুলো ম্যাচই হবে একই মাঠে।