বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত তাঁর পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ও নির্মাণ করা তোরণ অপসারণের জন্য সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন।রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ করেন তিনি।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ লেখেন, ‘২০ এপ্রিল আমার বরিশালে আগমন উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তোরণ নির্মাণ ও ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, এসব তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন নির্বাচনী আচরণবিধি বহির্ভূত। সে জন্য যাঁরা এসব তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন, তাঁদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি, আপনারা দ্রুত এসব অপসারণ করে নির্বাচনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।’
আবুল খায়ের আবদুল্লাহর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং নগরবাসীর যাতে দুর্ভোগ না হয় সে জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’
১৫ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন
আবুল খায়ের আবদুল্লাহর নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আজ পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। আবুল খায়ের আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমার পক্ষে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা আমার নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
কমিটির উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন—বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম, কে বি এস আহম্মেদ কবির, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দীন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি লস্কর নুরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও শ্রমিক লীগের নেতা আফতাব হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি বলরাম পোদ্দার, আইনজীবী আনিস উদ্দীন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান, শাহিন সিকদার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান, বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মঈন তুষার। অপর দুই সদস্য হলেন—রেজাউল হক ও হুমায়ুন কবির।