ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫,
সময়: ০৬:০৫:৪৫ PM

পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ,বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
11-07-2025 12:21:09 PM
পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ,বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

নোয়াখালীর ছয় উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪১ হাজার ৮৪০ পরিবারের দুই লাখ তিন হাজার ১০০ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ ঘরবাড়ি। জেলার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪১৯ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখ তিন হাজার ১০০ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ ঘরবাড়ি। এক হাজার ৪১৯ জনের সঙ্গে ২৪০টি গবাদি পশুকেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান  বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় নোয়াখালী সদর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নোয়াখালী সদর উপজেলাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৩০ হাজার, সেনবাগে তিন হাজার ৮৭০, কবিরহাটে তিন হাজার ৬৫০, কোম্পানীগঞ্জে তিন হাজার ৫২০, সুবর্ণচরে ৫০০ ও হাতিয়া উপজেলায় ৩০০।’তিনি আরও জানান, ‘এসব এলাকার একটি সম্পূর্ণ ও ৪০টি আংশিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪১৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া ২৪০টি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত দুই লাখ ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে যার মধ্যে কাজ করছে ২৯টি।’

এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জেলা শহর মাইজদীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৎস্য অফিস, জেল খানা সড়ক, পাঁচ রাস্তার মোড়, পৌর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এখনও অনেক এলাকায় কার্যকর না হওয়ায় ঘরবাড়ি ও সড়কে পানি জমে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ এবং যানবাহনের চালকদের।মাইজদী হাউজিংয়ের বাসিন্দা তাহসান হাবিব বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে এখনো রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাসাবাড়ির আঙিনায় পানি আছে। এ কারণে আমাদের দুর্ভোগ কমেনি। পানিতে ডুবে থাকা ভাঙাচোরা রাস্তায় চলতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি ধীরগতিতে নামছে। এ কারণে বৃষ্টি কমলেও শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছি। এছাড়াও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পানি চলাচলের পথগুলো সচল করে দিয়েছেন। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি।’