ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৬,
সময়: ০৪:৩১:০৬ PM

পর্ব ৯: প্রথম দেখা

মান্নান মারুফ
30-12-2025 02:15:48 PM
পর্ব ৯: প্রথম দেখা

রাত নেমে এসেছে।
শহরের আলো ধীরে নিভে আসছে, দূরের হাওয়ার গন্ধ ভেসে আসছে।
নীলা আর রবি হাঁটছে শহরের পাশের ছোট্ট নদী তীর ধরে।
নদীর জল হালকা কাঁপছে, দূরের ল্যাম্পপোস্টগুলো তাদের প্রতিফলিত করছে।
তারা একে অপরের পাশে, কিন্তু সেই চিরচেনা দূরত্ব বজায়।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা, তবু অনুভূতি অসীম।

রবি আকাশের দিকে তাকালো।
নীলাচে আলোয় চাঁদ উঁচুতে ঝুলছে, চারপাশে নক্ষত্রমণ্ডলী ছড়িয়ে আছে।
—“দূরত্ব দেখে কি সুন্দর লাগে না?” সে ধীরে বলল।
নীলা তার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালো।
—“হ্যাঁ, স্পর্শ করলে হয়তো এই সৌন্দর্য হারিয়ে যেত।”

তাদের ভালোবাসা ছিল স্পর্শের বাইরে, শব্দের বাইরে।
চোখে চোখ পড়লেই বোঝা যায়—মিলন হয়েছে।
কিন্তু সেই মিলন কখনো হাতে ধরা যায় না, কখনো দাবী করা যায় না।
দূরত্ব তাদের ভালোবাসাকে নিখুঁত করেছে।

রবি হালকা হেসে বলল—
—“চাঁদটা দেখো। আমরা যত কাছাকাছি থাকি না কেন, তার আলো সবসময় আমাদের পৌঁছে যায়।”
নীলা ধীরে হাসলো, চোখে অদ্ভুত উজ্জ্বলতা।
—“আলোর মতো, দূরত্বেও অনুভূতি পৌঁছায়।”

নদীর জলে তারা নিজেরা প্রতিফলিত দেখছে।
চোখে চোখ পড়লেই বোঝা যায়, এখানে স্পর্শের দরকার নেই।
নীরব সংযোগ, দূরত্ব, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে প্রেম চিরস্থায়ী।

রবি হঠাৎ বলে—
—“সব ভালোবাসা ছোঁয়ার জন্য নয়।
কিছু ভালোবাসা দূরত্বে থাকলেই দীপ্যমান।
চাঁদের মতো, নক্ষত্রের মতো।”

নীলা হঠাৎ তার দিকে তাকালো।
চোখে ধীর, গভীর, অদৃশ্য প্রেম।
—“হ্যাঁ। স্পর্শের থেকে আকাঙ্ক্ষা অনেক শক্তিশালী।”
রবি হেসে মাথা নেড়ে বোঝালো—“তুমি বুঝেছো। দূরত্ব মানেই মিলন।”

রাত গভীর হচ্ছে।
নদীর পাশে তাদের ছায়া মিলছে, কিন্তু হাত ছোঁয়া হয়নি।
দূরত্ব, নীরবতা, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে অনুভূতি বিস্তৃত।
নীলা হঠাৎ হেসে বলল—
—“আমাদের ভালোবাসা যেমন চাঁদ, নক্ষত্রের মতো—দূরে থাকলেও আলো ছড়িয়ে দেয়।”

রবি ধীরে ধীরে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল।
—“দূরত্বের মধ্যে আমাদের মিলন, আমাদের সংযোগ, সবই চিরস্থায়ী।”
নদীর ধারে বাতাসে তারা একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে।
কোনো কথা নেই, কোনো হাত না ছোঁয়া—শুধু চোখের খেলা।
দূরত্বে ভরা সেই নীরব মিলন, স্পর্শবিহীন ভালোবাসা—সব মিলিয়ে হৃদয়কে পূর্ণ করে।

নীলা হঠাৎ ভেতরের অনুভূতি জানালো—
—“আমরা কখনো একে অপরকে দাবী করি না, কিন্তু চোখের মাধ্যমে সব বোঝা যায়।”
রবি হেসে বলল—“হ্যাঁ। চোখে চোখ পড়লেই সব প্রকাশ পায়।
স্পর্শের দরকার নেই।”

দূরের আকাশে তারা চাঁদ এবং নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে।
মুহূর্তটা স্থির, নিঃশব্দ, অদ্ভুত শান্তিপূর্ণ।
নীলা হঠাৎ বলে—
—“আমাদের ভালোবাসা কখনো ক্ষয়ে যাবে না।
কেননা আমরা কখনো এটাকে পূর্ণভাবে ছুঁইনি।
দূরত্বই আমাদের চিরস্থায়ী মিলন।”

রবি চুপচাপ মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
—“দূরত্ব ছাড়া ভালোবাসা হয়তো ভেঙে যেত।
এতে নিরাপত্তা, গভীরতা, এবং চিরস্থায়িত্ব আছে।”

নদীর জলের প্রতিফলনে তারা নিজেরা, আকাশ, চাঁদ এবং নক্ষত্র—সব একত্রে।
একটি চমৎকার নীরব ক্যানভাস, যেখানে অনুভূতি কথা না বলে প্রকাশ পায়।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা, তবু হৃদয়ের সংযোগ চূড়ান্ত।

নীলা হঠাৎ বলল—
—“যে কেউ দেখলে বুঝবে না, কিন্তু আমরা জানি—আমাদের মিলন কখনো শেষ হয়নি।
দূরত্বের মধ্যে সব আছে।”
রবি হেসে বলল—“এটাই সৌন্দর্য।
স্পর্শ ছাড়া, শব্দ ছাড়া, নিঃশব্দ ভালোবাসা।”

শহরের দূরের আলো, বাতাসের হালকা ছোঁয়া, নদীর জল—সব মিলিয়ে রাতের নিঃশব্দ মিলন।
চোখে চোখ পড়লেই বোঝা যায়—প্রেম স্থির, চিরস্থায়ী, দূরত্বে ভরা।
নীলা ধীরে ধীরে হাসলো, চোখে অদ্ভুত শান্তি।
রবি পাশে, তবে দূরত্ব অটুট।

রাতের আকাশে চাঁদ আরও উঁচুতে।
নক্ষত্রমণ্ডলী ঝলমল করছে।
দূরত্ব, নীরবতা, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে ভালোবাসা দীপ্ত।
নদীর ধারে তাদের প্রতিফলন, আকাশের প্রতিফলন—সব মিলিয়ে এক চিরস্থায়ী মিলন।

রবি ধীরে হেসে বলে—
—“দূরত্বের মধ্যে ভালোবাসা সবসময় অমর থাকে।
চাঁদ, নক্ষত্র, নদী—সব মিলিয়ে আমাদের নীরব মিলন।”
নীলা তার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ হাসে।
শুধু চোখের ভাষা—স্পর্শের নয়।

দূরত্বে ভরা সেই নীরব ভালোবাসা—সব মিলিয়ে প্রেমের চূড়ান্ত প্রকাশ।
চাঁদ, নক্ষত্র, নদী, আকাশ—সব মিলিয়ে নিঃশব্দ মিলন।
হাত না ছোঁয়া, দাবি না করা, তবু অনুভূতি চিরস্থায়ী।