ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৬,
সময়: ০৪:২৬:৪৩ PM

পর্ব ৮: প্রথম দেখা

মান্নান মারুফ
30-12-2025 02:11:30 PM
পর্ব ৮: প্রথম দেখা

শহরের রাস্তাগুলো ধীরে ধীরে নীলচে আলোয় সজ্জিত।
সূর্য অস্ত হতে চলেছে, কিন্তু আকাশের কোণে এখনও হালকা সোনালি রেখা টিকে আছে।
নীলা আর রবি হাঁটছে পরিচিত পথ ধরে—একটি ছোট্ট পার্কের পাশ দিয়ে, গাছগুলোর ছায়ায়, ফুটপাথের ধুলোয়—সবই তাদের পরিচিত।

তাদের মাঝে সেই চিরচেনা দূরত্ব।
কেউ হাত বাড়াচ্ছে না, কেউ একে অপরকে আটকাচ্ছে না।
তবু হৃদয় একে অপরের দিকে টানে, নিঃশব্দ, অদৃশ্য।
প্রতিটি ধাপ, প্রতিটি চোখের খেলা—সব মিলিয়ে বিদায়ের নীরবতা।

রাস্তায় ছোট্ট দোকান, ল্যাম্পপোস্টের আলো, দূরের গাড়ির শব্দ—সব মিলিয়ে শহরের নিঃশব্দ জীবন।
নীলা হঠাৎ থেমে দাঁড়িয়ে বলে—
—“তুমি কি কখনো ভেবেছো, আমরা এত কাছাকাছি থেকেও কেন স্পর্শ করি না?”

রবি ধীরে হাসে, চোখে প্রশান্তি—
—“কেননা স্পর্শ করলে মুহূর্তটি শেষ হয়ে যাবে।
দূরত্ব আমাদের অনুভূতিকে আরও গভীর করে।”

নীলা হেসে মাথা নেড়ে বোঝাল—“হ্যাঁ, অদৃশ্য মিলনের শক্তি।”
তারা ধীরে ধীরে পার্কের বেঞ্চের পাশে দাঁড়াল।
চুপচাপ, একে অপরের দিকে তাকিয়ে।
কেউ কথা বলছে না, কেউ কোনো দাবি করছে না।

শহরের হালকা বাতাসে নীলার চুল উড়ছে।
রবি পাশে, কিন্তু ছোঁয়া নেই।
এই দূরত্বে এত শান্তি, এত গভীর সংযোগ—অদ্ভুত সুন্দর।
নীলা হঠাৎ অনুভব করল—স্পর্শ ছাড়া ভালোবাসার পরিপূর্ণতা কী সুন্দর হতে পারে।

তাদের চোখে চোখ পড়ল।
কোনো কথা নয়।
কোনো হাত বাড়ানো নয়।
শুধু দীর্ঘ, নীরব, গভীর দৃষ্টি।
যেখানে বলা হয়ে গেল সবকিছু, যা ভাষা বোঝাতে পারত না।

রাস্তায় ধীরে ধীরে রাত নেমে আসছে।
ল্যাম্পপোস্টগুলো একে একে জ্বলে উঠছে।
শহরের আলো, দূরের শব্দ, হালকা হাওয়া—সব মিলিয়ে নীরবতার আবরণ।
নীলা হঠাৎ বলে—
—“এটাই আমাদের শেষ বিকেল একসাথে?”

রবি চুপচাপ তাকিয়ে আছে।
চোখে অদ্ভুত প্রশান্তি, মুখে হালকা হাসি।
—“হয়তো,” সে বলে।
—“কিন্তু শেষ বিকেলও সুন্দর হতে পারে, যদি আমরা বোঝাপড়া রাখি।”

নীলা ধীরে এগিয়ে চলল, রবি ধীরে ধীরে পাশে হাঁটছে।
মাঝখানে সেই দূরত্ব।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা—সব মিলিয়ে মিলন চূড়ান্ত।

শহরের রাস্তা ধীরে ধীরে নির্জন হয়ে আসছে।
নীলা হঠাৎ কিছুক্ষণ থেমে তাকাল, মনে হলো—এখানেই সব বোঝা যায়।
দূরত্ব, নীরবতা, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা।

রবি হঠাৎ বলে—
—“দূরত্বই আমাদের গল্পের সুর।”
নীলা হেসে মাথা নেড়ে বোঝাল—“সুরের মধ্যে শান্তি।”

চুপচাপ, নিঃশব্দ, অদৃশ্য—সব মিলিয়ে ভালোবাসার পরিপূর্ণতা।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা, তবু অনুভূতি চূড়ান্ত।
দূরত্ব তাদের মিলন, নীরব সংযোগ, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে প্রেম চিরস্থায়ী।

শেষ বিকেলের আলো ম্লান হয়ে আসছে।
নীলা হঠাৎ চোখে জল ধরে রাখে।
রবি তার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসে।
কোনো কথা নয়, শুধু বোঝাপড়া।
মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু বোঝা গেছে—বিদায়ের নীরবতা, অনুভূতির গভীরতা।

শহরের শেষ আলো, হাওয়া, দূরের শব্দ—সব মিলিয়ে নিঃশব্দ মিলন।
নীলা ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়, ভিড়ে মিশে যায়।
রবি থেমে দাঁড়িয়ে থাকে আলো-আঁধারির সীমান্তে।
চোখে চোখ পড়ল শেষবার।
শুধু বোঝাপড়া, শূন্য স্পর্শ, নিঃশব্দ ভালোবাসা।

শহর, বন্ধু, পরিবার—সব মিলিয়ে পরীক্ষা।
কিন্তু এই নীরব, দূরত্বে ভরা ভালোবাসা চিরস্থায়ী।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা—সব মিলিয়ে সম্পর্ক নিখুঁত।

নীলা ধীরে ধীরে চলে যায়।
রবি স্থির, স্থিরই থেকে যায়।
মাঝে থাকা দূরত্ব, নিঃশব্দ মিলন, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে প্রেম চিরস্থায়ী।

শেষ বিকেলের নীলচে আলো, শহরের নিঃশব্দ, বাতাসের ছোঁয়া—সব মিলিয়ে নীরব সংযোগ।
এই শান্তি, এই দূরত্ব, এই নিঃশব্দ মিলন—সব মিলিয়ে ভালোবাসার চূড়ান্ত পরিপূর্ণতা।