সময় গড়িয়েছে।
নীলা আর রবি একে অপরের জীবনের অঙ্গ।
কিন্তু তাদের সম্পর্ক এখনও নিঃশব্দ, চুপচাপ, এবং দূরত্বে ভরা।
বন্ধুরা মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে—
—“তোমরা এত ভালোবাসো, তবু একে অপরের কাছে কেন এত দূরে?”
রবি হেসে চুপ থাকে।
নীলা কেবল মাথা নেড়ে বোঝায়—“বুঝবে না।”
সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ আসলেই সহজ নয়।
পরিবার, বন্ধুরা, সমাজ—সবাই বুঝতে চায়।
কেউ হয়তো প্রশংসা করে, কেউ হয়তো প্রশ্ন তোলে।
কেউ বলে—“এটি অসম্পূর্ণ।”
কেউ বলে—“এতে সাহস কম।”
কিন্তু নীলা ও রবি জানে—অসম্পূর্ণতা বাইরের চোখে।
ভেতরে, তাদের নীরব সংযোগ পূর্ণ।
চোখে চোখ পড়লে বোঝা যায়—দূরত্বের মধ্যেই মিলন।
হাত না ছুঁয়া, দাবি না করা, কিন্তু হৃদয়ে হৃদয় মিলিত।
একদিন, নীলা তার বোনের সঙ্গে কফি শপে বসে।
বন্ধুরা কৌতূহল প্রকাশ করে—
—“এত ভালোবাসা, তবু কি তোমরা একে অপরকে স্পর্শ করো না?”
নীলা হেসে মাথা নেড়ে বোঝালো—“না।”
কেউ অবাক হয়।
কেউ প্রশ্ন তোলে—“কেন?”
নীলা জানে উত্তর দেওয়ার দরকার নেই।
কেননা কিছু ভালোবাসা বোঝানো যায় না।
এটি নিঃশব্দ, চুপচাপ, এবং দুরত্বে ভরা।
দূরত্বই তাদের ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখে।
রবিও জানে।
বন্ধুরা মাঝে মাঝে হাসে—“তুমি সাহসী নও।”
কিন্তু রবি জানে—সাহস মানে দাবী করা নয়।
পাশে থাকা, বোঝা, দূরে থেকেও অনুভব করা—সবই যথেষ্ট।
নীরবতা, দূরত্ব, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে সম্পর্ককে চিরস্থায়ী করে।
হৃদয়ের সংযোগ, বোঝাপড়া, নিঃশব্দ মিলন—সব মিলিয়ে পূর্ণতা।
একদিন শহরের বইমেলায় তারা গেল।
রাস্তায় মানুষ, আলো, শব্দ—সব মিলিয়ে ভিড়।
কিন্তু তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে।
দূরত্ব, নিঃশব্দ বোঝাপড়া, চোখের খেলা—সব মিলিয়ে মিলন।
বন্ধুরা আবার কৌতূহল প্রকাশ করে—
—“এত ভালোবাসা, অথচ কেন স্পর্শ নেই?”
নীলা হেসে বোঝাল—“চাওয়ার থেকে বোঝা শক্তিশালী।”
রবি মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
কিছুক্ষণ পরে, তারা শহরের পার্কে বসে।
চুপচাপ, দূরত্বে, তবে একে অপরের কাছাকাছি।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা—সব মিলিয়ে সম্পর্কের সৌন্দর্য।
শহরের শব্দ, হাওয়ার ছোঁয়া, দূরের পাখি—সব মিলিয়ে নীরবতার আবরণ।
একপর্যায়ে নীলা হঠাৎ বলে—
—“সময় আমাদের পরীক্ষা করছে।”
রবি ধীরে হেসে উত্তর দেয়—
—“হ্যাঁ। কিন্তু আমরা জানি, দূরত্ব মানেই মিলন।”
হৃদয়ের সংযোগ, চোখের ভাষা, নিঃশব্দ বোঝাপড়া—সব মিলিয়ে সম্পর্ক চিরস্থায়ী।
বন্ধু, পরিবার, সমাজ—সবই এক ধরণের পরীক্ষা।
কিন্তু তাদের ভালোবাসা অটুট।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা, কিন্তু অনুভূতি পূর্ণ।
নীরবতা তাদের শক্তি।
দূরত্ব তাদের নিরাপত্তা।
চোখে চোখ পড়লেই বোঝা যায়—মিলন হয়েছে।
স্পর্শ ছাড়া, চাপে পড়ে না, তবু মিলন চূড়ান্ত।
রাত্রে তারা শহরের ছোট্ট রাস্তা ধরে হাঁটছে।
ল্যাম্পপোস্টের আলো হালকা, দূরের শব্দ, বাতাসের ছোঁয়া—সব মিলিয়ে নিঃশব্দ মিলন।
নীলা হঠাৎ বলে—
—“সমাজ, বন্ধু, পরিবার—সব পরীক্ষা। আমরা শুধু বোঝাপড়া রাখি।”
রবি চুপচাপ মাথা নেড়ে বোঝাল—“এটাই যথেষ্ট।”
সময় গড়িয়েছে, সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ বেড়েছে।
কিন্তু স্পর্শ, দাবী, উচ্চ শব্দ—সবই বাদ।
শুধু চোখে চোখ, হৃদয়ে হৃদয়, দূরত্বে মিলন।
এই নীরবতা, এই দূরত্ব—সব মিলিয়ে ভালোবাসাকে চিরস্থায়ী করে।
পর্বের শেষ বিকেলে, তারা ছোট্ট চায়ের দোকানের বারান্দায় বসে।
চায়ের কাপ হাতে, দূরের আলো ভেসে আসে।
নীলা হঠাৎ বলে—
—“সব পরীক্ষা আসলেই বোঝার জন্য নয়। ভালোবাসা বোঝাপড়া দিয়ে টিকে থাকে।”
রবি চুপচাপ হেসে বোঝালো—“দূরত্বেই সব সুন্দর।”
শহরের আলো, দূরের শব্দ, বারান্দার বাতাস—সব মিলিয়ে নীরবতার সৌন্দর্য।
দূরত্বের মধ্যে মিলন, চোখের খেলা, নিঃশব্দ সংযোগ—সব মিলিয়ে সম্পর্ক চিরস্থায়ী।
হাত না ছোঁয়া, দাবী না করা—সব মিলিয়ে ভালোবাসা নিখুঁত।