নাঈমুল ইসলাম খান তার পত্রিকায় তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি ছাপিয়েছিলেন। সেটা উল্লেখ করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, খান সাহেব তারেকের লোক, বা তিনি তারেকের সঙ্গে লাইন দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই খোলাচিঠি তিনি কবে ছাপিয়েছিলেন, সেখানে কি লেখা হয়েছিল, কি ভুল আছে তার কোনো উদ্ধৃতি কেউ দিচ্ছে না। ঢালাও মন্তব্য, “তিনি তারেক রহমানকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন,” “তারেকের সাথে লাইন দিয়েছিলেন” ইত্যাদি ইত্যাদি। এধরনের প্রচারণা অসততা এবং উদ্দেশ্যমূলক। আচ্ছা ভাইয়েরা, মিথ্যা কথা কেন বলেন? তিনি কি সেই খোলাচিঠি তারেক রহমান ক্ষমতাধর থাকা অবস্থায় লিখে তার কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন? চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনে ক্ষমতায় আসা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে – যখন তারেক রহমান কারাগারে। বিচার ও শাস্তি থেকে এক রকম রেহাই দিয়ে তারেককে চিকিৎসার নামে বিদেশে পাঠানো সঠিক হয়েছে কিনা, তাকে কারাগারে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চালালে পরবর্তী রাজনীতিটা কেমন হতো ইত্যাদি প্রশ্নে মতান্তর থাকতে পারে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এসব নিয়ে অনেক আলোচনা করবেন। তবে এটুকু জেনে রাখুন, তারেককে বিদেশে পাঠানো, নির্বাচন আয়োজন এবং সামরিক বাহিনীর কুক্ষিগত রাজনৈতিক ক্ষমতা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে হস্তান্তরের ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিকের ঐ খোলা চিঠির অবদান আছে।
সাংবাদিকের নিজের কন্ঠ থেকে সুর বেরোয় না, অথচ সবচেয়ে বড় সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদের সুরের সমালোচনা লেখে। নিজেরা বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং কিছুই না পারলেও দক্ষ ক্রিকেটারের ভুল ধরে। নিজেরা খেলতে না জেনে দক্ষ খেলোয়ারদের খেলা শেখায়। আর নিজেরা রাজনৈতিক না হয়েও রাজনীতি শেখায় ঝানু রাজনীতিবিদকে। সাংবাদিকতা পেশার চরিত্রটাই এমন। নাঈমুল ইসলাম খান আওয়ামীলীগ বা বিএনপি করেন না। তিনি সাংবাদিক। তিনি তারেক রহমানকে খোলা চিঠি লিখে সাংবাদিকতায় কোনো পাপ করেননি।
২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমাদের সময়ের প্রথম পাতায় ছাপা হওয়া ঐ খোলা চিঠিতে তারেক রহমানকে নাঈমূল ইসলাম খান যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো যদি তিনি মানতেন তাহলে জিয়াপুত্র ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হতেন এবং রাজনীতিরও উপকার হতো।
কারাগার থেকে বেরিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে যাতে চিকিৎসা নেন এবং স্বাস্থ্যের যতœ নেন, তৎকালীন সময়ে বন্দী এক ‘নষ্ট রাজপুত্রকে’ সেই পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিক। “জুবায়দা ও জায়মার প্রতি ভালবাসা থেকে দেশের সকল মানুষের প্রতি ভালবাসা” শিখতে পরামর্শ দিয়েছেন।
তাকে পড়াশোনা করতে বলেছেন এবং ইউরোপ ও আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ কোর্সে অংশ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি, এমনকি আটককৃত অবস্থায় তারেক যাদের দ্বারা নিগৃহিত হয়েছেন তাদের প্রতিও, প্রতিহিংসাপরায়ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বলেছেন, “দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভ্রান্তি ছিল নিশ্চয়ই। ... বাংলাদেশের খেটে খাওয়া পরিশ্রমী কৃষক-মজুর আরো অনেক ভালো জীবন যাপনের অধিকার রাখে। তাদের কথা একটু বেশি করে ভাবুন....”
তারেককে ভুল স্বীকার করার পরামর্শ দিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যে কোন ভুল স্বীকারকে অত্যন্ত অসম্মানজনক ও ক্ষতিকারক বিবেচনা করা হয়। আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিতে পারি এই ধারণা ভিত্তিহীন ও মারাত্মক বিপর্যয়কর।”
এ লেখায় অপরাধ কোথায়? ওনার লেখাটি বেশ বড়, যাদের ইচ্ছা হয়, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে লেখাটির সমালোচনা লিখুন; গণতন্ত্রে সমালোচনা ও পাল্টা সমালোচনা আত্মোপলব্ধিতে ও সমাজ-মানস গঠনে ভূমিকা রাখে।
আমি কেন নাঈমুল ইসলামের পক্ষে লিখছি? তার সঙ্গে নিশ্চয় আমার আন্তরিক সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু ভাল সম্পর্ক থাকলেও সবার সম্পর্কে সবসময় লেখি না। আমি তার পক্ষে লিখছি, কারণ তিনি ”রাজাকার পুত্র”। একজন রাজাকার পুত্র পত্রিকার সম্পাদক হয়ে সেখানে “তুই রাজাকার” কলাম চালু করার দুঃসাহসী বীরত্ব প্রদর্শন করায় আজ আমি তার পক্ষে কলম ধরেছি।
একটি প্রতিকূল সময়ে সাংবাদিকতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নতুন ধারা সৃষ্টির কারিগর হওয়ায় তার প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের দায় আছে।
“মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নির্ভীক কণ্ঠস্বর” স্লোগানে ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকা আবির্ভাবের সেই সময়টা ভাবুন - ১৯৯১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়া ও এরশাদ হয়ে খালেদা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাবিরোধী রাজনীতির পুরো সময়টা বিবেচনা করুন। তখনকার প্রভাবশালী বাংলা পত্রিকা ‘ইত্তেফাক’ ও ‘ইনকিলাব’। ইনকিলাব ও তার মালিকের অবস্থান সবাই জানেন। আর ইত্তেফাক সেসময় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে না হলেও এই চেতনার পক্ষে বিপ্লবী অবস্থানে ছিল না। পত্রিকাটির মালিকরা প্রায় সবসময় ছিলেন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে; তারা মন্ত্রিত্বও নিয়েছেন – রাজনীতির এপক্ষে, ওপক্ষে; সব পক্ষেই। তাদের সুবিধাবাদী ক্ষমতারোহন নিয়ে আমাদের কথা নেই, বরং সাথে আছি নীতিতেই আমরাও আছি।
এরশাদ ও খালেদা সরকারের প্রিষ্ঠপোষকতায় ইনকিলাবের চেয়েও চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও উগ্র অবস্থান থেকে প্রকাশিত হতো বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দল ফ্রিডম পার্টির পত্রিকা দৈনিক মিল্লাত। ঐ পত্রিকায় শেখ হাসিনার নামটাও বিকৃত করে করে লেখা হতো; হিন্দুয়ানী ভাষা থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্য ‘জলপ্রপাত’কে লেখা হতো ‘পানিপ্রপাত’ ও ‘জলপাই’কে ‘পানিপাই’ লেখা হতো। সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের ‘দৈনিক জনতা’ পত্রিকাও ছিল প্রায় একই লাইনের।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সবসময় সুস্পষ্ট অবস্থানে সবেধন নীলমণি ছিল ‘সংবাদ’ ও ‘বাংলার বাণী’। কিন্তু বুদ্ধিজীবী মহলের বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে তার প্রবেশ কতটুকু ছিল?
তবে বলুন, খালেদার আমলে শানিত কলমে “তুই রাজাকার” কলাম চালু করা কোন পক্ষের দালালী ছিল? নাঈমুল ইসলাম কি তখন ক্ষমতাসীন দলের তুষ্টিসাধন করে লাভবান হওয়ার সাংবাদিকতা করেছিলেন? অনেকের মতোই সাংবাদিকতায় ও চরিত্রে আপোষকামিতা তথা বিচ্যুতির রেকর্ড খান সাহেবের নেই, একথা কখনোই বলব না। কিন্তু সেকাল থেকে আজ পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডে তাকে কি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের বুদ্ধিজীবী হিসেবে চেনেন?
অধিক কথা কি বলব, জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের সময় নাঈমুল ইসলাম খানের ভোট কোন পক্ষ প্রত্যাশা করে? ইসলামপন্থী, এরশাদপন্থী, খালেদাপন্থী, নিজামীপন্থী, ফ্রিডমপার্টিপন্থীরা? নাকি তার ভোটটা আমরা প্রত্যাশা করি? আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন হয়ে “রাজাকার পুত্রের” ভোট পাবেন – এমনটা কেন প্রত্যাশা করেন ভাই?
আপনিও অন্তরে জানেন নাঈমুল ইসলাম খান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন; তার পিতার রাজনৈতিক অবস্থান মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে হলেও। আপনি আরও জানেন, নাঈমুল খান একদম অসাম্প্রদায়িক। আপনি জানেন, তিনি সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য ইত্যাদির বিপক্ষের মানুষ। তিনি পরিপূর্ণভাবে আধুনিক চিন্তাচেতনা সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ।
ছেলে বয়সে ছাত্রশিবির করেছে, এখনো গোপনে জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে টাচে আছে, বাবা-কাকাও ছিল রাজাকার – এমন মানুষও পরিচয় গোপন করে আপনার-আমার সাথে থাকে; মিথ্যা কথা বলে এবং সুবিধা নেয়। আর যে মানুষটা অকপটে তার সত্য পরিচয় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছে তাকে কোনঠাসা করার জন্য তার পিতার অপরাধ দেখিয়ে দেওয়ার মূল মতলব কি?
আওয়ামী লীগ করে, কিন্তু সেক্যুলারিজম কি জিনিস বোঝে না – আন্তরিকভাবে সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী; রাজনীতি নিয়ে পুরাই ব্যবসা করে –এমন মানুষকে সালাম দিয়ে চলার চেয়ে অকপটে “রাজাকার পুত্র” হিসেবে নিজেকে স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশকারী নাঈমুল ইসলাম খানকে সালাম জানানো নৈতিক দায়িত্ব মনে করি। রাজাকারের পরিবারে জন্ম নিলে রাজাকার হওয়াই তার নিয়তি, মানুষ হওয়ার অধিকার তার নেই – এমন বিশ্বাস নিয়ে কখনো চলিনি, এমন কথা কখনো বলিনি, ভবিষ্যতেও বলব না। যাদের ভাগে টান পরে তারা এসব বলুক।
গতকাল আমাদের এক রিপোর্টার ভাই একটি দৈনিক পত্রিকায় জয়েন্ট এডিটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ফেসবুকে পোস্ট দেখে ওনাকে আমি অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের বহু সহকর্মী তাকে অভিন্দন জানিয়েছেন। আচ্ছা, ওনাকে অভিনন্দন জানানোর সময় তিনি কোন মতাবলম্বী, কতটা সৎ, কত ইঞ্চি লম্বা – এসব কি আমরা বিবেচনা করেছি? তিনি তার পেশাগত জায়গায় একটি বড় সফলতা অর্জন করেছেন বিধায় আমরা অকুন্ঠে বন্ধু হিসেবে তাকে অভিনন্দিত করেছি। নাঈমুল ইসলাম খান তার পেশাগত জায়গায় যদি কোনও বড় অর্জন করেন, আমরা কি তাকে অভিনন্দন জানাব না? সাংবাদিকতা পেশাটি কি আমলাদের পদের তুলনায় তুচ্ছ? একজন পত্রিকা সম্পাদক কি সরকারের একজন সচিবের তুলনায় অত্যন্ত নগন্য? তাহলে প্রধানমন্ত্রী তাকে সচিব পদমর্যাদার একটি দায়িত্বে নিয়োজিত করলে কষ্ট কোথায়?
বলুন দেখি নাঈমুল ইসলাম খান বড় কোনও বিনিয়োগ হাতে নিয়ে যদি আবার বৃহৎ একটি পত্রিকা বের করার উদ্যোগ নেন, তার কাছে চাকরির জন্য যাবেন না – কে কে আছেন? রাজাকার পুত্রের অধীনে চাকরিতে যাবেন – এটা একটা কথা হল?
নাঈমুল খান দুর্নীতিবাজ ও অসৎ হলে পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন কি কাঙ্খিত? সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত থাকা কি শুধু আমলাদের বিষয়? একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক কি সমাজের অনেক বেশি ক্ষতি করতে পারে না? তার পত্রিকার সম্পাদক হওয়া নিয়ে টেনশন নেই, তাকে অভিনন্দন জানাতেও রাজি আছেন, শুধু তার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস-সেক্রেটারি হওয়া নিয়ে টেনশন – এরকম কেন? অসৎ ও দুর্নীতিবাজ হলে নাঈমুল খানের সম্পাদক থাকা উচিত নয়, তার জেলে থাকা উচিত। সব পেশার জন্য এটাই সত্য হওয়া উচিত।
“তুই রাজাকার” কলামের জন্য নাঈম খানের ব্যাপারে বহু মানুষের জ্বলুনি আছে। তারা প্রত্যাশা করে একজন রাজাকার পুত্র তাদের পক্ষে থাকবে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকরা রাজাকারের বিরুদ্ধে তার কলমকে নেবে, কিন্তু ভয়ে থাকবে তার ভাগটা যেন তিনি নিতে না পারেন।
নাঈমুল খান দক্ষতা ও বাকপটুতা দ্বারা তার অবস্থান অর্জন করেছেন একথা সত্য। জামাত-বিএনপির লোকজনের ভাষায় তিনি, “চাটুকারিতা” করে হাসিনার আস্থা অর্জন করেছেন। আচ্ছা, ঐ পদে কি সরকারের বিরোধী কাউকে নিয়োগ দেওয়া আশা করেন? অনেকে আছে, যারা আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কোনো অবদান ছাড়াই অনেক বড় বড় পদ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদেরও সমালোচনা হয়। আবার যে দক্ষতার সাথে সরকারের পারপাস সার্ভ করে তারও সমালোচনা হয়। যদি তিনি সরকারের চাটুকারিতা করে থাকেন এবং যদি তিনি যোগ্য হন, তাহলে তো সরকারের রাজনৈতিক নিয়োগে ভুল নেই। একদিন নয়, দু’দিন নয়, বছরের পর বছর নাঈমুল খান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে মানুষের মত প্রকাশ ও জানার অধিকারের পক্ষে কাজ করেছেন। তাতে ভুল-ভ্রান্তি ও বিচ্যুতিও থাকতে পারে। কিন্তু তার অবদান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে; অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পক্ষে। এতে আওয়ামীলীগের কতটুকু উপকার বা ক্ষতি হয়েছে তারা বুঝবে।
আগেও বলেছি, আবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদের জন্য সম্ভাব্য যেসব নাম শুরু থেকে আলোচনায় ছিল তারা সবাই দক্ষ, যোগ্য ও উত্তম মানুষ। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত এবং আরও বড় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তাদের আছে। যারা যেখানে কাজ করেন তারা সেখানেই অর্জন প্রত্যাশা করেন এবং লেগে থাকলে প্রাপ্তিও থাকে। তাদের কারও নিয়োগে আমার আপত্তি নেই, বরং অর্জনে অভিনন্দন জানাব।
বিভিন্ন মহল থেকে বিরোধিতার ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে নাঈমুল ইসলাম খানের নিয়োগ কিছুটা ঝুলে গেছে, এ আমি জানি। শেখ হাসিনা কোন সাংবাদিককে অথবা কোন আমলাকে তার প্রেস সচিব নিয়োজিত করবেন, এ সিদ্ধান্ত ও এক্তিয়ার সম্পূর্ণ তাঁর। কিন্তু একজন মানুষকে অহেতুক হেনস্তা করা বা অপদস্ত করা অনুচিত কাজ মনে করি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় এক রাজাকার পুত্রের অবদানকে মানুষ যেন শ্রদ্ধায় স্মরণে রাখে।।
পুলক ঘটক,সাংবাদিক ও লেখক ।