ঢাকার কেরানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে সাগর(২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত সাগর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং পালগাঁও এলাকার রিপন মোড়লের ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সাথে চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় রবিন মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করত।সোমবার (১১ ডিসেম্বর ) রাত আটটার দিকে শুভাঢ্যা পূর্বপাড়া কলেজ ভিটি এলাকার ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফারুক মিয়ার বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় কয়েকজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ চিৎকারের শব্দ শুনে সেখানে দৌড়ে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত হয়ে এক যুবক পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এর আগে (১০ ডিসেম্বর ) রবিবার দিবাগত রাত দশটায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মালিভিটা এলাকায় শাহিন(৪০) নামে এক যুবককে গুলি ও মারধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাহীন আব্দুল্লাহপুর এলাকার লোকমান মিয়ার ছেলে। সে এলইডি বাল্বের ব্যবসা করতো। রাতে তার ভায়রাভাইয়ের (স্ত্রীর বোনের স্বামীর) সাথে ভাওয়ার ভিটি এলাকায় এলইডি বাল্বের কারখানায় যাওয়ার পথে কে বা কারা তাকে গুলি ও এলোপাথাড়ি মারধর করে হত্যা করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান জানান, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহতের ঘটনা শুনেছি, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ সম্বন্ধে কিছু জানিনা। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব, গিয়ে বিস্তারিত জেনে পরে বলতে পারব।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এলইডি বাল্ব ব্যবসায়ী শাহিনের মৃত্যু অত্যন্ত রহস্যজনক। তার বুকে যে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে সেটা গুলির চিহ্ন মনে হচ্ছে না। এছাড়া তার ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল পুড়ে গেছে এবং ডান পাশের চোখ ঝলসানো রয়েছে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।এ ঘটনায় নিহতের ভায়রাভাই নাজিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।