বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'গণতন্ত্রের নামে বিরোধী দলের যে অধিকার আছে, এটা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে, কথা বলার স্বাধীনতা এখন শ্মশানে, মানুষ নির্ভয়ে কথা বলতে পারেনা। এই পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এই দেশের মানুষকে।তিনি বলেন, 'একটি সরকার যখন নির্বাচিত সরকার না হয়, একটি সরকার যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয় তাহলে সেই সরকার জনগণের কল্যাণ, জনগণের স্বার্থ ও জনগণের মঙ্গল চিন্তা করে না। তারা চিন্তা করে কিভাবে বিদেশে টাকা পাচার করবে, কিভাবে তারা লুট করবে এবং কিভাবে তারা নিজ দলের লোকদেরকে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বানাবো এই পরিস্থিতি এখন দেশে চলছে। বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে মোহাম্মদপুর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিশনার প্রার্থী।রিজভী বলেন, 'আমরা একটি প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই দেশে বসবাস করছি। ভিন্ন মত বিরোধীদলের কথা বলা এখানে খুব বিপদজনক। যারা দেশের সত্য কথা তুলে ধরবেন তাদেরকে যেতে হয় কারাগারে। তাদেরকে সরকারি নিপীড়নের শিকার হতে হয়। আজকে বিএনপির অনেক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দল এবং বিএনপির নেতাকর্মী আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে, তারা কোথায় আছেন? তার পরিবারও জানেনা, দলও জানেনা। এভাবে অসংখ্য গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার মধ্য দিয়ে এই সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করে ভোটারদেরকে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তিনি (সরকার) নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে একটি ডামি সরকার, দখলদার সরকার হিসেবে জনগণের উপরে লাঠি ঘুরাচ্ছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'সারা দেশের মানুষ মনে করে এই সরকারের মন্ত্রীরা-প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেন, এটা জনগণের কাছে চার পয়সার দাম নেই। কারণ তারা একটাও সত্য কথা বলেন না, একটাও ন্যায্য কথা বলেন না, এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে ঠেলে দিয়েছে সরকার।এসময় বিএনপি'র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক ডাক্তার তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।