ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ইতোমধ্যে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করার পেছনে রাজনৈতিক কৌশল কাজ করছে বলে জানা গেছে। এসব আসনের একটি বড় অংশ বিএনপির মিত্র ও সমমনা জোটভুক্ত দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে থাকা সমমনা দলের ১২ জন শীর্ষ নেতাকে ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রমতে, এই ১২ নেতার মধ্যে রয়েছেন—

• পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,

• বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না,

• ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ,

• লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম,

• কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

এছাড়া—

• ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ,

• ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি,

• চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক,

• কুমিল্লা-৭ আসনে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ,

• নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,

• পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর,

• এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

সমমনা জোটের এক শীর্ষ নেতা বলেন,

“এই ১২টি আসন নিয়ে ইতিবাচক সিগন্যাল পাওয়া গেছে। বাকি আসনগুলোতে কোন দল কতটি করে আসন পাবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী মাঠে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এই সমন্বিত প্রক্রিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।