
দক্ষিণ লেবাননের বনভূমি ও আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে আজ শুক্রবার(২৭ জুন) একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে এক নারী নিহত এবং আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনে) জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে আলি আল-তাহের অঞ্চলের বন, কফার তেবনিত ও নাবাতিয়েহ আল-ফাওকা এলাকার উঁচু ভূমিতে
রকেট নিক্ষেপ করা হয়।১০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বিমানগুলো একই এলাকায় আবারও বোমাবর্ষণ চালায়।এদিকে, লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিভাগ জানায়, নাবাতিয়েহ শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় এক নারী নিহত ও ১১ জন আহত হন।এর আগে আরও চার বেসামরিক ব্যক্তি দক্ষিণে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় আহত হন, ফলে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫।অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের মাউন্ট শকিফে হিজবুল্লাহর একটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, ওই স্থাপনা যাতে পুনর্গঠন করা না যায়, তা ঠেকাতেই এই হামলা চালানো হয়।
হিজবুল্লাহ পক্ষ থেকে এই হামলার দাবির বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর লেবাননের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত হামলা শুরু করে, যা ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত এই সংঘাতে ৪,০০০ জনের বেশি নিহত, ১৭,০০০ জনের বেশি আহত এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যদিও গত নভেম্বরে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবুও ইসরায়েলি বাহিনী এখনো প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ইসরায়েল প্রায় ৩,০০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, এতে কমপক্ষে ২০৮ জন নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলকে ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তেল আবিবের অস্বীকৃতির কারণে সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখনো ইসরায়েল দক্ষিণ সীমান্তের পাঁচটি পোস্টে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।