যে কোনো অপরাধীর অপরাধের তথ্য সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার বা সিডিএমএস (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) রেকর্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ৭২টি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সবগুলো মামলাই গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা।সিডিএমএসের বাইরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা এবং অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও সিডিএমএসে তার পরিবারের সদস্যদের মামলার তথ্যও রয়েছে। এতে দেখা যায়, শেখ হাসিনার ছেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ১৩, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছয় এবং বোন শেখ রেহানার নামে পাঁচ মামলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নামে ছয়, শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে একটি, শেখ ফজলে শামস পরশের নামে তিনটি, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নামে তিনটিসহ অন্য আত্মীয়দের বেশকিছু মামলার তথ্য যুক্ত রয়েছে। সিডিএমএসে শেখ হাসিনার নামে ব্যক্তির নাম কলামে লেখা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’, পিতার নাম ‘মৃত শেখ মজিবর রহমান, বৈবাহিক অবস্থা ‘বিবাহিত’, লিঙ্গ লেখা হয়েছে ‘মহিলা’। ধর্মের কলামে লেখা হয়েছে ‘নাস্তিক’। ব্যক্তির থিম কলামে লেখা হয়েছে ‘অন্যান্য, হত্যাকারী’। ঠিকানা কলামে লেখা হয়েছে ‘স্থায়ী (৩২ ধানমন্ডি) উপজেলা/থানা-ধানমন্ডি, জেলা, ঢাকা, বাংলাদেশ পুলিশকে প্রদত্ত। উপজেলা: অজ্ঞাত, থানা: অজ্ঞাত। বাংলাদেশ, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম-টুঙ্গীপাড়া, উপজেলা/থানা টঙ্গীপাড়া (টুঙ্গিপাড়ার স্থলে টঙ্গীপাড়া লেখা হয়েছে) জেলা: গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ।’ এ ছাড়া শেখ হাসিনার বয়স লেখা হয়েছে ৭৬ বছর। সিডিএমএসে তার একটি ছবি যুক্ত রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ফৌজদারি মামলা-সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনায় পুলিশের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার বা সিডিএমএস অপরাধীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিট সিডিএমএসে মামলা-সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করে। কোনো আসামির বিরুদ্ধে দেশের কোন থাকায় কোন অভিযোগে কোন ধারায় কী কী মামলা আছে, কোনো মামলায় সংশ্লিষ্ট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা সাজার রায় আছে কি না—এসব তথ্যও থাকে। মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ বিচার-সংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের তথ্য সিডিএমএসে সংরক্ষণ করা হয়।

ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা আলাপকালে কালবেলাকে বলেন, ‘২০১৫ সালে সিডিএমএস চালু করা হয়। পুলিশের সব ইউনিটের জন্য মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ অপরাধের সব ধরনের তথ্য সিডিএমএসে সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। এক তথ্যভান্ডারে অপরাধের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য সহজে পাওয়া যাচ্ছে। অপরাধীর অপরাধ বৃত্তান্ত জানা থেকে শুরু করে সব ধরনের তথ্য জানা যায়।’

সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রতিদিন ঢাকা মহানগরের থানাগুলোতে নতুন করে যত মামলা হয়, সেগুলোর এজাহারের ই-কপি ডাটাবেজে তুলতে হয়। ফৌজদারি মামলায় আসামির জামিন মঞ্জুরের তারিখ, যে আদালত জামিন মঞ্জুর করলেন সেই আদালতের নাম, যিনি জামিনদার হলেন তার নাম-ঠিকানা সিডিএমএসে সংরক্ষিত থাকে। জামিনের তথ্যের পাশাপাশি মামলায় যেসব আলামত জব্দ করা হয়, সেই তথ্যও সংরক্ষিত থাকে।’

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা হয় গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়।

তবে সিডিএমএসে থাকা তথ্যের চেয়ে মামলার প্রকৃত সংখ্যা কিছুটা বেশি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রায় ডজন মামলা করেছে। ওইসব মামলার তথ্য সিডিএমএসে যুক্ত করা হয়নি।সিডিএমএসের তথ্য বলছে, বিগত পাঁচ মাসে হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় একশটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব মামলায় আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর হুকুমদাতা, অর্থদাতা এবং পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে। সর্বশেষ গত ২৫ জানুয়ারি ডিএমপির ভাটারা থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলার তথ্য সিডিএমএসে যুক্ত করা হয়েছে।

একজন ব্যক্তির নামে একটি কোডেই সব মামলা থাকার নিয়ম। শেখ হাসিনার নামে প্রায় অর্ধশত কোড কেন—জানতে চাইলে ঢাকার একটি থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওসি বলেন, ‘অনেক সময় সার্ভার জটিলতা বা সার্ভার স্লো থাকে। আমরা সার্চ করে কোড খুঁজে পাই না। সময় সংক্ষেপ থাকায় আমরা নতুন একটি কোড তৈরি করে দিই। এভাবে অনেকগুলো থানা থেকে নতুন নতুন কোড দেওয়ার কারণে অর্ধশত কোড হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার মামলাগুলো একই কোডে আনার বিষয়ে কাজ চলছে।’

শেখ হাসিনার নামে বিভিন্ন আইডি কোডে যত মামলা:

শেখ হাসিনার প্রিয়াস কনভিকশন অ্যান্ড প্রিভিয়াস রেকর্ড বা পূর্ববর্তী দণ্ড ও রেকর্ডসমূহের পরিসংখ্যান (পিসিপিআর) তথ্য অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইডি কোড রয়েছে প্রায় ৫০টি। এর মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় গত ২৯ আগস্ট ‘ফাইভএসবিএসডব্লিউ’, ২৫ আগস্ট ফাইভএসসিক্সটিফোর, ১৪ সেপ্টেম্বর ফাইভটুফাইভএলকিউ আইডিতে একটি করে মামলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উত্তরা পূর্ব থানায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফাইভটুএনসিপি, ১৬ নভেম্বর ফাইভফাইভএইটপিএম, ৫ নভেম্বর ফাইভনাইনজিপিএস ও ১ ডিসেম্বর ফাইভফোরওয়ানএমআর আইডিতে একটি করে মামলা রেকর্ড রয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৬ অক্টোবর ফাইভওয়ানফাইভফাইভকে আইডিতে দুটি ও ৮ জানুয়ারি ফাইভসেভেনএনসিক্সএল আইডি কোডে দুটি মামলা নথিভুক্ত হয়। সাভার থানা পুলিশ গত ২২ আগস্ট ফাইভএসফাইভবিপি, ২৫ আগস্ট ফাইভএসসিক্সআরএইচ ও ফাইভএসসিক্সআরসেভেন কোডে, ৩০ আগস্ট ফাইভএসবিফোরএন কোডে, ২ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএলনাইনএল কোডে, ৪ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএনজিপি, ৮ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএক্সসিক্সসিক্স, ১০ সেপ্টেম্বর ফাইভএসকিউএমসিক্স, ১৬ সেপ্টেম্বর ফাইভটুসিক্সএইটএইচ ও ফাইভটুসিক্সএইটডি ২১ সেপ্টেম্বর ফাইভটুজেইডব্লিউ কোডে একটি করে মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়।ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় ১২ সেপ্টেম্বর ফাইভটুওয়ানজিসি, ২৯ সেপ্টেম্বর ফাইভটুভিইউনাইন ও ফাইভটুভিএন, কোডে একটি করে এবং ৮ অক্টোবর এ ফাইভওয়ানথ্রিসিক্সভি কোডে আইডিতে দুটি মামলা ৮ নভেম্বর ফাইভনাইনভিআরএইট কোডে আরেকটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

ডিএমপির ভাটারা থানায় গত ৩ অক্টোবর ফাইভওয়ানএসফোরই কোডে দুটি, ২ ডিসেম্বর ফাইভফোরফাইভএফএ কোডে একটি ও ১ জানুয়ারি ফাইভসেভেনএইটকেফাইভ কোডে আইডিতে দুটি মামলা রেকর্ড হয়। একই থানায় গত ২ জানুয়ারি ফাইভসিক্সকেনাইনকিউ কোডে একটি ও ২৫ জানুয়ারি ফাইভসিক্সএমডিসি কোডে দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে।

ডিএমপির পল্টন থানায় গত ১ ডিসেম্বর ফাইভফোরটুপিআর কোডে একটি, ১৪ ডিসেম্বর ফাইভসেভেনফাইভএফএস কোডে ও ১৬ জানুয়ারি ফাইভসিক্সনাইনএক্সজি কোডে একটি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একইভাবে ডিএমপির বাড্ডা থানায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফাইভটুপিসিকে ও ফাইভএসভিডব্লিউনাইন কোডে দুটি করে চারটি ও গত ১ সেপ্টেম্বর ফাইভএসজেএমফাইভ কোডে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একইভাবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ফাইভটুবিইকে, ২৮ নভেম্বর ফাইভফাইভআরবিটু, ৫ জানুয়ারি ফাইভসেভেনএলসিক্সটি, ও ফাইভফাইভআরবিটু ও ৯ জানুয়ারি ফাইভসেবেনপিকেসি কোডে একটি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।অন্যদিকে, রাজধানীর কাফরুল থানায় গত ২৩ ডিসেম্বর ফাইভসেভেননাইনডিভি কোডে দুটি মামলা রেকর্ড হয়। গত ২৩ আগস্ট ফাইভএসফোরডব্লিউএল কোডে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর ফাইভওয়ানকেইউএম কোড শাহবাগ থানায় একটি ও ৯ সেপ্টেম্বর ফাইভএসওয়াইজেএফ কোডে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানার গত ২০ সেপ্টেম্বর ফাইভটুইএমওয়ান ও চান্দগাঁও থানায় ফাইভটুবিএইচনাইন ও ১ নভেম্বর ফাইভনাইনএইএইচ কোডে আইডিতে বাকলিয়া থানায় একটি করে মামলার তথ্য সিডিএসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় গত ২৯ আগস্ট ফাইভএসবিসেভেনটি, ১৩ অক্টোবর ফাইভওয়ানজেএইটএস ও ২ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএলজেফাইভ কোডে একটি করে মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইভটুইউএলসেভেন ও ২২ অক্টোবর ফাইভওয়ানআরসেভেনএম কোডে একটি করে মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়া সদর থানায় গত ১০ অক্টোবর ফাইভওয়ানডিটুটু আইডিতে দুটি মামলা, ৯ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএক্সমথ্রি কোডে, নরসিংদীর মাধবদী থানায় ৪ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএমইউটি কোডে রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় গত ২৬ আগস্ট ফাইভএসথ্রিজিওয়ান কোডে, পিরোজপুর সদর থানার গত ১ নভেম্বর ফাইভনাইনএকিউজি কোডে ও পঞ্চগড় সদর থানার একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সিডিএমএসে জয়ের ১৩ মামলা:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে ও তার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে সিডিএমএসে তার বয়স লেখা হয়েছে ৫২ বছর। তার বিরুদ্ধে গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ফাইভফাইভআরটুকে, উত্তরা পূর্ব থানায় ১৭ ডিসেম্বর ফাইভফোরভিনাইনডি কোডে একটি মামলা, রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় গত ২৬ আগস্ট ফাইভএসথ্রিওয়াইএস কোডে, ২৮ নভেম্বর ফাইভফাইভটিডব্লিউইউ কোডে ও ধানমন্ডি থানায় ৩ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএফওয়াননাইন কোডে একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪ আগস্ট ফাইভএসসেভেনএনওয়াই কোডে ও ২৬ আগস্ট ফাইভএসএইটটুবি কোডে ও ১ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএলসিক্সথ্রি, ১৮ সেপ্টেম্বর ফাইভটুডিফোরএ, ১৫ সেপ্টেম্বর ফাইভটুফোরএইটসিক্স কোডে একটি করে মামলা হয়েছে। জয়ের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএনডব্লিউসি কোডে, ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা, গুলশান থানায় ৩০ সেপ্টেম্বর ফাইভটুভিকিউএ কোডে ও শাহবাগ থানায় ১৪ অক্টোবর ফাইভওয়ানকেইউএম কোডে একটি করে মামলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর বাইরেও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে।

পুতুলের নামে ৬ মামলা:

পিসিপিআরে শেখ হাসিনার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ছয় মামলার রেকর্ড রয়েছে। এগুলোর প্রায় সবই হত্যা মামলা। গত ৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ফাইভসেভেনইওয়ানটু, উত্তরা পূর্ব থানায় ২৫ আগস্ট ফাইভএসসিক্সবিডি, যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪ আগস্ট ফাইভএসসেভেনএনওয়াই, ২৬ আগস্ট ফাইভএসএইটটুবি, ১ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএলসিক্সথ্রি ও ১৮ সেপ্টেম্বর ফাইভটুডিফোরএ কোডে একটি করে মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। পিসিপিআরে পুতুলের ব্যক্তি নাম দেওয়া হয়েছে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, পিতার নাম মৃত ওয়াজেদ মিয়া, ধর্ম ইসলাম, ঠিকানা: স্থায়ী সাং ১২ ধানমন্ডি লেক রোড, উপজেলা/থানা ধানমন্ডি জেলা: ঢাকা লেখা হয়েছে।

রেহানার নামে ৫ মামলা:

শেখ রেহানার নাম লেখা হয়েছে শেখ রেহানা, বয়স উল্লেখ নেই, পিতা: শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিকানা দেওয়া হয়েছে: স্থায়ী উপজেলা/থানা: অজ্ঞাত। জেলা: অজ্ঞাত, স্থায়ী (সাং ধানমন্ডি লেক রোড) উপজেলা ও থানা ধানমন্ডি, জেলা: ঢাকা বাংলাদেশ। তার নামে পিসিপিআরে যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪ আগস্ট ফাইভএসসেভেনএনওয়াই, ২৬ আগস্ট ফাইভএসএইটটুবি, ১ সেপ্টেম্বর ফাইভএসএলসিক্সথ্রি, ১৮ সেপ্টেম্বর ফাইভটুডিফোরএ, ও সাভার থানায় ১৬ সেপ্টেম্বর ফাইভটুসিক্সএইটডি কোডে একটি মামলা করা হয়েছে।পুলিশের বক্তব্য:

সিডিএমএস বা পিসিপিআরে শেখ হাসিনার নামে থাকা রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘আমার জানামতে মামলা যখন হয়, তখনই সেটা সিডিএমএসে যুক্ত হয়। সিডিএমএসে তার সব মামলার রেকর্ডই রয়েছে।’’কালবেলা’র সৌজন্য।