ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪,
সময়: ১১:২৭:২১ PM

”ড. ইউনূস ইস্যুতে চাপে নেই সরকার”

স্টাফ রিপোর্টার ।।দৈনিক সমবাংলা
03-12-2024 11:27:21 PM
”ড. ইউনূস ইস্যুতে চাপে নেই সরকার”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা ১৭৫ জন বিশ্বনেতা ও নোবেলজয়ীর চিঠির বিষয়ে সরকার বিচলিত নয় বা কোনো চাপে নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে কোরিয়ান দূতাবাস আয়োজিত কোরিয়া-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দণ্ড দেওয়া হতে পারে- এমন আশঙ্কায় ১০০ জনেরও বেশি নোবেলজয়ীসহ ১৭৫ জন বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।

 

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তবাকের বিশ্বে যেকোনো অবস্থান থেকে যে কেউ যেকোনো কিছু বলতে পারে এবং আউট অফ দ্য ওয়ে যেভাবে বলি না কেন এখানে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগ যেটা মনে করেন, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে (সেটাই করবেন)। একটি বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান দ্যাটস আন হাড অফ।’তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যারা এই আবেদনে শামিল হচ্ছেন তারা তাদের রেপুটেশনের প্রপার জাস্টিস করছেন। একটা বিচারকে তারা অবজারভ করতে পারেন, কিন্তু একজন ব্যক্তি যিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যিনি শত শত হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছেন, যার প্রপার্টি আছে তার তো একটা লিগ্যাল ইস্যু থাকতে পারে। তার মানে এই না সে অপরাধী হয়েই যাবে আর সেটা ইনভেস্টিগেট করাই যাবে না। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি কি আছেন যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা তদন্ত করা যাবে না বা কোর্টে নেওয়া যাবে না?’

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে একজনকে অব্যাহতভাবে প্রটেকশান দেওয়ার জন্যৃ, কিন্তু আমরা বুঝতে পারি। অতীতেও কিছু ব্যক্তি বা তিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মর্যাদা শুধু তার গুণের কারণে হয়েছে তা নয়। এর পেছনে অনেক বিনিয়োগ আছে। আমি ওদিকে যেতে চাই না। আর এটা সরকারের বক্তব্য নয়, আমার নিজের বক্তব্য। কিন্তু নো মেটার হোয়াট বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিচার চলবে। আমরা এটা নিয়ে বিচলিত বা এটা নিয়ে চিন্তিত বা চাপে নেই।’

 

ড. ইউনুসের সঙ্গে সরকারের কোনো দূরত্ব বা এজেন্ডা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা ১/১১’র ঘটনা প্রবাহ জানেন। তারপর গত ১৫ থেকে ১৭ বছরের আমাদের দিক থেকে কিছু নেই। কিন্তু আমরা যেটা দেখেছি, যেটার প্রতিফলন আপনারা আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে দুই পাতা ভাড়া করতে অন্তত পক্ষে মিলিয়ন ডলার লাগে। সেই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে একটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মতো স্বাক্ষর নিয়ে, যে স্বাক্ষরের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত। তিনি বা তার লোকজন এখনো অর্থ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু এ মামলার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই।’‘এরা বাংলাদেশের বন্ধু, তাদের কাছে ভুল মেসেজ যাচ্ছে। একটা বিষয়ে বলি, আমরা যেসব কনট্রাকসের কাছে পৌঁছালে তারা আমাদের কথাটা শোনার সম্ভবনা আছে আমরা যেমন বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধের কাছে অতীতে করেছি, এখনো আমাদের দূতাবাসগুলো করে যাচ্ছে। আমরা তাদের কাছে এটার যতটুকু জানি তুলে ধরবো। একটা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার বা আমাদের দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন করে ব্যাখা বা বলার কিছু নেই। কারণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তেতে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের এ অনুরোধটুকু করবো এবং রিএসুয়েন্সটুকু দেবো, বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। নাথিং টু ওরিড। দে হ্যাভ মাস্ট গার্ডস অ্যান্ড কারেজ এক্সসেপ্ট দ্য ভারডিক্ট অফ।’