ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪,
সময়: ০৭:৫১:১১ AM

বাম ছাত্ররাজনীতি প্রায় বিলুপ্তির পথে

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
11-05-2024 10:54:39 AM
বাম ছাত্ররাজনীতি প্রায় বিলুপ্তির পথে

স্বাধীনতার আগের ও পরের বাংলাদেশে বামপন্থি ছাত্ররাজনীতির ছিল সমৃদ্ধ ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতার যুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের আগে-পরে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনেই বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো ছিল নেতৃত্বের পর্যায়ে। তাদের পরিকল্পনাতেই দেশের বেশিরভাগ গণআন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে সেই সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফিকে হয়ে গেছে। বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো।এমন সময় ছিল যখন দাপুটে ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিলের স্লোগান শুরু হলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতেন। একটি সংগঠনের মিছিল মানেই জড়ো হতো কয়েক হাজার ছাত্র। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এখন এসব পত্রিকায় থাকা ইতিহাস। এই সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে এখন সমাগম হয় হাতে গোনা। এগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসাহাসিও করেন অনেকে। সংগঠনগুলো এখন গণ-কর্মসূচি বাদ দিয়ে নিজেদের সংকুচিত করে ফেলেছে দেওয়াল লিখন আর ‘চিকা মারা’র মধ্যে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ভাঙন, সরকারি দলের দমন-পীড়ন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কর্মসূচি থেকে দূরে যাওয়াসহ বেশকিছু কারণে সংগঠনগুলোর এমন দুরবস্থা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশের বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। ২০২১ সালে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংগঠনে বিদ্রোহ ও পরে পৃথক কাউন্সিলের মাধ্যমে দুই ভাগ হয়েছে সংগঠনটি। এখন দুই অংশের দুটি কমিটি বিদ্যমান। ফলে আলাদাভাবে কর্মসূচিতে লোক হয় আট থেকে দশজন করে। একই অবস্থা ছাত্র ফেডারেশনেরও। এই সংগঠনেরও অংশ দুটি। একটি জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলনপন্থি, অন্যটি বদরুদ্দীন উমরের জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলপন্থি। একই চিত্র সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টেরও। ২০১৮ সালে ভাগ হওয়ার পর থেকে এই সংগঠনটির একটি মার্কসবাদী আরেকটি অংশ খালেকুজ্জামানপন্থি হিসেবে পরিচিত।ছাত্র ফ্রন্টের ভাঙা অংশ আরও একবার ভাঙে ২০২১ সালে। এসময় ভাঙা অংশ থেকে ভেঙে আরও একটি সংগঠন হয়। যেটি ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল’ হিসেবে মধুর ক্যান্টিন থেকে আত্মপ্রকাশ করে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ)-সহ হাতে গোনা কয়েকটি সংগঠনে অন্তর্দ্বন্দ্ব না থাকলেও টুকটাক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে। সংগঠনগুলোর কোনোটির কর্মসূচিতে মাত্র ৪ থেকে ৫ জন আবার কোনোটিতে উপস্থিত থাকে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ জন।এমন অবস্থায় সংকট কাটিয়ে উঠতে বামপন্থি আটটি সংগঠন মিলে গঠন করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’। সেখানেও নানান মতানৈক্য, আদর্শ থেকে সরে যাওয়ার অভিযোগ এবং ইগো সমস্যার কারণে তারা অধিকাংশ সময়ই এক হতে পারে না। বিভিন্ন ইস্যুতে জোটের কর্মসূচিতেও কর্মী উপস্থিতির সংখ্যা থাকে হাতে গোনা। যাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নন, বরং ঢাকার কোনো স্কুল-কলেজ থেকে তাদের নিয়ে আসা হয় বলেও সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। একই অবস্থা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রফ্রন্টসহ বাম দলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে যৌথভাবে সোচ্চার হলেও নিজেদের এককভাবে কোনো কর্মসূচি নেই তাদের। তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি বা আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে নামমাত্র। লোকসংখ্যাও হাতে গোনা।

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্ররাজনীতির পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এখানে শুধু ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কমিটি বিদ্যমান। তবে হাতে গোনা ৭-৮ জন কর্মী নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন কাজ করলেও ছাত্র ফ্রন্টের কোনো কর্মসূচি পালিত হয় না। বাকি ছাত্র সংগঠনগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই।তবে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে সারাদেশের থেকে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। নানান ধরনের শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে এখানে তারা তাদের পুরোনো জায়গাটি ধরে রেখেছেন। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও নগর শাখাগুলোতে বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীসংখ্যা এখন অস্তিত্ব সংকটে।

প্রশ্ন হলো, যে সংগঠনগুলো একসময় ছিল রমরমা, কালের পরিক্রমায় সেগুলোতে কেন ছাত্ররা আর সম্পৃক্ত হচ্ছে না? হাজার ছাত্রের মিছিল কেন ৮-১০ জনে নেমে এলো?এ নিয়ে জানতে চাইলে বিভিন্ন বাধার কথা উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিক বলেন, শিক্ষাবিরোধী নীতিমালা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের সমর্থন পাচ্ছি। এখানে মূলত সংগঠনের ভেতরের এবং বাইরের পরিবেশ, দুটো মিলিয়েই বুঝতে হয়। আমরা যে পরিমাণ সমর্থন পাচ্ছি, সেই পরিমাণ সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা ১৬ বছর সরকারের একদলীয় শাসন চলছে। পুরো প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্রসহ কোথাও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই।‘ফলে আমাদের বক্তব্যগুলো ছাত্ররা সঠিক মনে করলেও, আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া তাদের জন্য কঠিন। আমাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ছাত্রদের বিভিন্ন রকমের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজের মধ্যে প্রচণ্ড ধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতা বেড়েছে। ফলে সমাজের সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ও আমাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা।’এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, পুরো পৃথিবীতে বামপন্থি রাজনীতি পঞ্চাশের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত বেশ শক্তিশালী ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর থেকে মূলত এখানে নতুন আবহ তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোতে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল, সেই পরিবেশ ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো নষ্ট করে দিয়েছে।

সারাদেশের সাংগঠনিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দুই বছর ধরে একটা আন্দোলনের মধ্যে ছিলাম। সে সময় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল চরমে। আমরা আন্দোলনের মধ্যে থাকার কারণে দেশের অনেক জায়গায় সম্মেলন করিনি। এখন আন্দোলনের পর আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো দেওয়া এবং নতুন জায়গায় কীভাবে কমিটি দেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপক শীল বলেন, নব্বইয়ের দশকের পরে যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে, তারা ছাত্ররাজনীতির গলা চেপে ধরেছে। এ কারণে তারা ছাত্রসংসদ নির্বাচনগুলো হতে দেয়নি। ছাত্রসংসদ নির্বাচন যখন বন্ধ করে দিয়েছে, তখন ক্যাম্পাসগুলোতে আর কোনো নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। এ কারণে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর কিছুটা দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরও আমরা ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরানোর জন্য আন্দোলন চলমান রেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, যদি ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়, ছাত্র ইউনিয়ন পূর্বের যে ধারাবাহিকতা, সেটি রক্ষা করতে পারবে।তিনি বলেন, আমাদের সারাদেশের কার্যক্রম খুব চমৎকারভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে আমাদের কমিটি রয়েছে। তা হোক পূর্ণাঙ্গ বা আহ্বায়ক কমিটি। আমাদের জেলা পর্যায়েও সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে।

কথা হয় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা ও পরবর্তী অনেক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী সাবেক ছাত্রনেতা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সঙ্গে। তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনগুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে রুদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রদের গণতান্ত্রিক দাবি নিয়ে আন্দোলনের যে ঐতিহ্য, সেই আন্দোলন গড়ে তোলার ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। হলসহ সর্বত্র দখলদারত্ব, ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। পাশাপাশি বিরাজনীতিকরণের প্রভাবও আছে।

বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর এমন দুরবস্থার পেছনে তাদের নিজেদের বিভেদ প্রভাব ফেলছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, বিভক্তি আগেও ছিল, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা ছিল। কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন, বর্তমান সময়ের ছাত্রসমাজের রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিষয়টিও বিবেচনা করা উচিত। শিক্ষার অধিকার, শিক্ষার মান ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য অতীতের ছাত্রসমাজের যে প্রচেষ্টা ছিল, সেই প্রচেষ্টা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেই এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান  বলেন, রাজনৈতিক চর্চার জন্য যে পরিবেশ থাকা উচিত, গত ১৫ বছর ধরে সেটি অনুপস্থিত। লম্বা সময় গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক চর্চা, ভিন্নমতের প্রকাশ উৎসাহিত করে না। একটা স্বৈরাচারী, গণতন্ত্রহীন পরিবেশে স্বাভাবিকভাবেই আদর্শগত ও যেকোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারে না।

তারুণ্যে বাম রাজনীতি করা এ অধ্যাপক বলেন, বাম ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্ব আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতো। এখন সেই নেতৃত্বের অভাব আছে। বিশেষ করে তাদের অভিভাবক সংগঠনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা ‘অধীনস্তের সম্পর্ক’ হয়েছে। তারা কিন্তু স্বাধীনভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলন পরিচালনা করতে পারে না। তাদের অভিভাবক সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব গত বিশ বছরেও পরিবর্তন হয়নি। তাদের নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোতে অনুগতদের দিয়ে কমিটি দেয়। ফলে তাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়। তাদের দুরবস্থার এটিও অন্যতম কারণ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা। তিনিও বাম ছাত্ররাজনীতির দুরবস্থার কারণ হিসেবে সোভিয়েতের পতন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতিকেই দায়ী করেন।তিনি বলেন, বাম ছাত্ররাজনীতি দুর্বল হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার অংশ। গত ১৫ বছর ধরে একটি ছাত্র সংগঠন ছাড়া কোনো ভিন্নমতের সংগঠনকেই আমরা দাঁড়াতে দেখিনি। যারাই দাঁড়িয়েছে, তারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন পরিবেশে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা সম্ভব নয়। সেটা শুধু ক্যাম্পাস নয়, সারা বাংলাদেশের কোথাও প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চার পরিবেশ এই মুহূর্তে নেই। সেই জায়গা থেকে বলা যায়, বাম ছাত্ররাজনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। এরমধ্যে সোভিয়েতের পতন যেমন একটা বিষয়, সেই সঙ্গে গত ১৫ বছরের শাসনব্যবস্থাও একটা বড় ব্যপার।