৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বহিষ্কার করাদের মধ্যে রংপুর সাংগঠনিক বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, ঢাকা বিভাগে ছয়জন, ফরিদপুর বিভাগে দুজন, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, কুমিল্লা বিভাগে দুজন ও খুলনা বিভাগে ছয়জন।এদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে-সব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গত ২ মে তাদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। চিঠি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী এবার কম বেশি ৪৮০ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে সব ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপেও বিএনপি নেতাদের অনেকে প্রার্থী হতে আগ্রহী। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা দলটির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। নেতাদের ধারণা, উপজেলা নির্বাচনের শেষ ধাপ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা আড়াই-তিনশ হতে পারে। যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে কিছু নেতা বহিষ্কার হলেও তাতে তাদের দলের কোনো ক্ষতি হবে না।