ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই সহোদর কিশোর শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে, শিগগির ফলাফল মিলবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।মধুখালীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে গুজব-উসকানি ছড়িয়ে দুই সহোদর নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন ধরতে পারছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় এরই মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ আসামির বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কাজেই এ ক্ষেত্রে আমি বলবো, আবেগে গা না ভাসিয়ে আমাদের বুঝতে হবে তাদের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারা পলাতক, তাদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টা অব্যাহত। মধুখালীর এই হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে স্থানীয় জেলা প্রশাসককে পুরস্কার ঘোষণা করতে হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিদিন অভিযান চলছে। আশা করছি, শিগগির একটা ফলাফল আমরা পাবো।
গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মধুখালীর ডুমাইনের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে থেতলিয়ে দুই কিশোর সহোদর শ্রমিক আশরাফুল খান (১৭) ও আরশাদুল খানকে (১৫) হত্যা করা হয়। গুরুতর জখম করা হয় আরও পাঁচজনকে। তারা সেখানে পঞ্চপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণে কাজ করছিলেন। এ ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৫ ও ৪৩ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে স্কুলের কক্ষে মেঝেতে ফেলে পেটানো হচ্ছে। এ সময় ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন ও মেম্বার অজিত কুমার সরকার মারপিট করছিলেন দেখা যায়। ওই ভিডিও প্রকাশের পর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন ও অজিত কুমার গা ঢাকা দিয়েছেন।