সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ধর্ষণের মতো ঘটনা দেশ ও জাতির জন্য চরম অবমাননাকর উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে বেঁধে রেখে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে দলগত ধর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ দুজন। তাদের সহযোগিতা করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাব্বির। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এহেন ধর্ষণের ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র নিন্দা ও গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুততার সাথে আইনের আওতায় আনাসহ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
‘সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে আসে অভিযুক্তরা এবং তার স্বামীর মাধ্যমে ফোন দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে অভিযুক্তদের একজনের জিনিসপত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেন। ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি আশুলিয়া থানাধীন জিরানী এলাকায়। জামা-কাপড় ও জিনিসপত্র নিয়ে নারীটি ক্যাম্পাসে আসলে তার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে তাকে হলের সামনে থেকে হলের পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তারা তাকে দলগত ধর্ষণ করে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ধর্ষণের মতো এহেন ন্যক্কারজনক কাজ, মাদকের সংশ্লিষ্টতা এবং এর সাথে ক্ষমতাসীন দলের সম্পৃক্ততা দেশ ও জাতির জন্য চরম অবমাননাকর বলে মনে করে। যদিও আমরা জানতে পেরেছি এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এমএসএফ অনতিবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার এবং ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।