যে দিকে চোখ যায়, শুধুই সাগরের নীলাভ সুবজ জল। সমুদ্রের পাড়ে গা এলিয়ে রয়েছে সাদা বালি। সূর্যের আলোয় ঝকঝক করছে নীল দিগন্ত। এমন মায়াবী পরিবেশে প্রিয় জনের হাত ধরে একান্তে সময় কাটাতে কে না চায়! কাছের মানুষের সঙ্গে নিভৃতে নির্জনে সময় কাটানোর আদর্শ গন্তব্য হিসাবে অনেকেই সমুদ্রসৈকতে পা বাড়ান।এই বিশ্বের নানা প্রান্তে কত যে সৈকত রয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। তবে এর মধ্যে এমন কিছু সৈকত রয়েছে, যা ঘিরে আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। সে রকমই একটি সৈকত হল ফ্লোরিডার হ্যালোভার বিচ। যেখানে চাইলে আপনি নগ্ন হয়েই ঘুরে বেড়াতে পারেন।‘দ্য ল্যান্ড অফ দ্য ফ্রি’, অর্থাৎ একটা জায়গা, যেখানে স্বাধীন ভাবে সব কিছু করা যায়। বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত নগ্ন সৈকত হল হ্যালোভার। তবে নগ্ন হয়ে সমুদ্রে জলকেলি করা যায় ঠিকই। কিন্তু ‘সব কিছু’ করা যায় না। মানে, নগ্ন হওয়ার ছাড়পত্র মিললেও মেনে চলতে হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ।মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন ঘিরে রয়েছে হ্যালোবার বিচের চারপাশ। নরম তুলতুলে সাদা বালি আর নীলাভ সবুজ রঙের স্বচ্ছ জলে মনে নেশা লাগবেই।এই সমুদ্রসৈকতে পোশাক আপনি পরতেও পারেন, আবার না-ও পারেন। পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার ওপর। যদি চান, তা হলে নগ্ন হয়েই ঘুরতে পারেন এই সৈকতে।আমেরিকায় কয়েকটি সৈকত রয়েছে, যেখানে নগ্ন হয়ে ঘোরা যায় এবং সেটা আইনত বৈধ। এর মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিডার এই সৈকত। প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি পর্যটক ভিড় জমান এই সৈকতে।নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা রয়েছে এই সৈকতে। কিন্তু, এ জন্য পর্যটকদের কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। নগ্ন হওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মানেই যে অবাধ যৌনতা, তা কিন্তু নয়।সৈকতে কাউকে দেখে হয়তো আপনার চোখ টানল। উপায় নেই। কারও দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকানো একেবারেই নিষিদ্ধ সেখানে।প্রিয় জনের শরীর স্পর্শ করা কিংবা নিজের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা— এই ধরনের কাজ একেবারেই নিষিদ্ধ। যদি এই সৈকতে কোনও পর্যটক যৌনতায় মত্ত হন কিংবা কোনও ধরনের যৌন আচরণ করেন, তা হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।সৈকতে নগ্ন হওয়ায় ছাড়, কিন্তু যৌনতায় নয়। আর সেই কারণেই কোনও পুরুষ যদি যৌন উত্তেজনায় মেতে ওঠেন, তা হলে তাঁর যৌনাঙ্গ বালি কিংবা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। অথবা সমুদ্রে নামতে হয়।এত বিধিনিষেধ মানা হয় বলেই এটি নগ্ন সৈকত হলেও পরিবারবান্ধব। অর্থাৎ, পরিবারের সকলে মিলে ভাল সময় কাটাতে এই সৈকতে যেতে পারেন পর্যটকরা। অন্তত তেমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের।অনেকেই সাদা বালিতে শরীর এলিয়ে সূর্যের আলো গায়ে মাখার জন্য ফ্লোরিডার এই সৈকতকে বেছে নেন। কাজের ফাঁকে অবসরযাপনের জন্য অনেক পর্যটকেরই পছন্দের সৈকত হ্যালোভার।