জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতে হট্টগোল হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।সেই অনুযায়ী এদিন দুপুর দুইটার পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে অবস্থান নেন। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, এ সময় আদালত কক্ষে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী আদালতেই শ্লোগান দিতে থাকেন। এ অবস্থায় বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান। এরপর আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সন্ধ্যা ৬টার পর ফের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। গত বছর এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।