সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটিতে একের পর এক ভয়ঙ্কর নির্যাতনের চিত্র উঠে আসছে। বিদ্রোহীদের দমনে নানা ধরনের নির্যাতনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন আসাদ। এর মধ্যে অন্যতম হলো বন্দিশালা। যেখানে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো বন্দিদের।জাতিসংঘের সিরিয়া কমিশনের সমন্বয়ক বলেছেন, বাশার আল-আসাদের বন্দিশালার যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে তা ভয়ঙ্কর তবে আশ্চর্জজনক নয়।লিনিয়া আর্ভিডসন বলেছেন, ২০১১ সাল থেকেই জাতিসংঘের দল সিরিয়ার বন্দিশালাগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে সাবেক বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে। তবে এই প্রথমবার তারা সরাসরি বন্দিশালাগুলোতে প্রবেশের সুযোগ পেলো। তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড এ সব বন্দিশালাগুলোতে কোনো জানালা নেই। বন্দিরা সেখানে সূর্যের আলো দেখা ছাড়াই বছরের পর বছর, দশকের পর দশক অতিবাহিত করেছে। সাবেক বন্দিদের কাছ থেকে যে বর্ণনা পাওয়া গেছে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।এদিকে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের প্রধান জানিয়েছেন, আসাদ সরকারের আমলে যে সব কর্মকর্তা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কর্তৃপক্ষ তাদের তালিকা করবে।তাছাড়া নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিষয়ে তথ্য দিলে পুরষ্কার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি