মানুষের তৈরি আইন কখনোই মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়; তাই জামায়াত আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে একদফার আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি আজ রাজধানীর উত্তরখানে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ, মেডিক্যাল ক্যাম্প, গণসংযোগ এবং সুধী সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মো: ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোনের পরিচালক মো: জামাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য সামছুল কবির, তাজুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল, জনাব রফিকুল ইসলাম, জনাব নাজিম উদ্দিন, জনাব আবদুল হাকিম, শমসের আলী, তানজির হোসেন ও হেলাল খান প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের জাগতিক কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তিই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। মূলত, আমরা এমন একদল লোক তৈরি করার চেষ্টা করছি, যারা আগামী দিনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। এজন্য আমরা মানুষের আত্মগঠন, পরিবার ও সমাজ গঠন; সর্বোপরি দেশে রাজনৈতিক সংস্কারকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই মহতি কাজকে সফল ও স্বার্থকভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা গণমানুষের মানবীয় প্রয়োজন মেটানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যদিও এই কাজটি রাষ্টের। কিন্তু দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় মানুষ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে আজ রাজধানীর অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা আশা করবো অন্যরাও এই মহতি কাজে খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসবেন। তিনি বিপন্ন ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে সরকার, বিত্তবান সহ সমাজের সক্ষম মানুষকে খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারি আওয়ামী সরকারের সময়ে দেশের মানুষ এসব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা নানাবিধ প্রতিকূলতার মধ্যেও জনগণেরর কল্যাণে বিভিন্ন জনহিতকর কাজ করার চেষ্টা করলেও ফ্যাসীবাদী অপশক্তি আমাদেরকে তা নির্বিঘ্নে করতে দেয়নি বরং জাতীয় নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে হত্যা সহ শীর্ষনেতাদের দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ রেখে তাদের যোগ্যতর খেদমত থেকে দেশ ও জাতিকে বঞ্চিত করেছে। আমরা জনগণের কল্যাণকামীতার অংশ হিসাবেই আজ ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করছি। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মূলত, আমরা দেশকে আত্মনির্ভরশীল ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।