ঢাকা, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫,
সময়: ০১:৫৯:৫৬ AM

প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবো:গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
05-07-2025 09:38:29 PM
প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবো:গয়েশ্বর

সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কেরানীগঞ্জে ‘যথা সময়ে সংস্কার ও দ্রুত সময়ের নির্বাচন’ এর দাবিতে এই সমাবেশ হয়। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।গয়শ্বর বলেন, নির্বাচন করতে হবেৃ, নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও হাতে নেই যদি আমরা নামি। যারা বলে ১৬ বছর আমরা কিছু করতে পারিনি, তাদের বলবো আমরা এখন ১৬ দিনে তা দেখিয়ে দিতে পারিৃ, আমরা দেখাবো না। তিনি বলেন, একজন ভদ্রলোক ওয়াদা করেছেন, তিনি তার ওয়াদা পূরণ করবেন, যথাসময়ে নির্বাচন দেবেন- এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা ধৈর্য ধরে রাখছি।গয়েশ্বর বলেন, শিক্ষা আর স্বাস্থ্য দুইটা দখল করছে জামায়াত। ওখানে আর কারও কোনো ঠাই নেই, কোনো ঠাই নেই। মাঝেমধ্যে অনেকে বলে ভারতের দালাল-টালাল। যারা ভারতের দালালি করে তারাই ভারতের দালাল।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন চায় না, সংস্কার সংস্কার করে এটা-সেটা, এগুলো তো ভারতের দালাল। এরাই কিন্তু আওয়ামী লীগের জঘন্য লোকদের তাদের দলের মধ্যে সদস্য বানাচ্ছে গোপনে। এই পরাগ মন্ডলকে যে অপহরণ করলো, আপনারা সবাই তার নাম জানেন, এখন শুনি তিনি জামায়াতের নেতা। এখন জামায়াত কী জিনিস আপনারা একটু চিনে রাখেন।মাদক ও অস্ত্রমুক্ত কেরানীগঞ্জ গড়ে তুলতে ‘উন্নয়নের একটি বৃহৎ পরিকল্পনা’ প্রণয়ণ করার কথাও জানান গয়েশ্বর।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান বলেন, অনেক দিন পর একটি সমাবেশে এখানে বক্তৃতা দিতে আসলাম। গত ১৬টি বছর বিএনপির মিটিং করলে তার পাশেই ডাকা হতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। আহারে শান্তি।

তিনি বলেন, শান্তি সমাবেশে আসতো কারা? এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত? না, শান্তি সমাবেশে আসতো এলাকার সবচেয়ে বড় গুন্ডা, এলাকার সবচেয়ে বড় যে মাস্তান তারাই ওই শান্তি সমাবেশ আসতো। তারা যে পথ দিয়ে আসতো খুটখাট আওয়াজ হতো। সেই আওয়াজ অস্ত্রের আওয়াজ। শেখ হাসিনার আমলে শান্তির মা মারা গিয়েছিল, দাফন করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

গত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন কেউ কেউ নাকি বলে বিএনপি কী করেছে?হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে আছি। দেশের জনগণ অপক্ষোয় আছে। নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো টালবাহানা করা হয়, আবার যদি ঝামেলা করা হয়, আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবো।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দলের নেতা তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, এই বৈঠকে অনেকের গা জ্বলছে। কোনো লাভ নেই। দেশের প্রধান ও সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের সঙ্গে বৈঠক হবে এটাই জনগণ আশা করেছে এবং সেটাই হয়েছে।সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।