ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫,
সময়: ১১:৪৮:৩৯ PM

চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক‘অনন্য উচ্চতায়’:পুতিন

আর্ন্তজাতিক রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
02-09-2025 01:52:32 PM
চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক‘অনন্য উচ্চতায়’:পুতিন

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আগে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকের শুরুতেই পুতিন দুই দেশের সম্পর্ক ‘অনন্য উচ্চতায়’ পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করেন।ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে পুতিনকে শিকে উদ্দেশ করে বলতে শোনা যায়, প্রিয় বন্ধু, আমি ও সমগ্র রুশ প্রতিনিধিদল আবারও চীনের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ প্রমাণ করে রাশিয়া-চীন সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব, যা অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা আগে একসঙ্গে ছিলাম, এখনও একসঙ্গেই আছি।

শি বলেন, চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক আন্তর্জাতিক নানা পরিবর্তনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, বেইজিং মস্কোর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, যেন একটি ন্যায়ভিত্তিক ও যৌক্তিক বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

আগামী বুধবার চীনে অনুষ্ঠিত হবে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে। এর আগে মে মাসে শি মস্কো সফর করেছিলেন নাজিদের পরাজয়ের বার্ষিকী উদ্‌যাপনে।

এবারের বৈঠককে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের প্রভাব বিস্তারের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক অস্থির করে তুললেও শি নিজ দেশকে স্থিতিশীল বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে তুলে ধরছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ‘সীমাহীন বন্ধুত্বের’ বার্তা আরও স্পষ্ট করেছে। বৈঠকে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন দুই নেতা। শি নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের উত্ত্যক্তকরণের দিকে আঙুল তোলেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বলেও মনে করা হয়। অন্যদিকে পুতিন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে সঠিক আখ্যা দিয়ে এর দায় চাপান পশ্চিমাদের ওপর।

চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে মঙ্গলবার দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনাাগিন খুরেলসুখের সঙ্গেও ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এর আগে তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে শি স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা, গোষ্ঠীগত সংঘাত ও অসদাচণের বিরোধিতার আহ্বান জানান।  
 
বুধবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও। বিশেষ ট্রেনে করে চীনে প্রবেশ করেন তিনি। এটাই তার প্রথম বহুপক্ষীয় আন্তর্জাতিক বৈঠকে যোগদান।  ১৯৫৯ সালের পর প্রথমবার কোনো উত্তর কোরীয় নেতা চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে যাচ্ছেন।

রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমা নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। তবে বেইজিং এখনো পুতিনের যুদ্ধের সমালোচনা করেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় চীন দ্বৈত ব্যবহারের সামগ্রী ও রুশ তেল কেনার মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে। যদিও বেইজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অস্ত্র ও সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।