 
                                    ভারতে অনুপ্রবেশ ও ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাসের অভিযোগে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করেছে গুজরাট পুলিশ। আটকদের মধ্যে পাঁচশ’ জনের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতভর অভিযান চালিয়ে সুরাট থেকে ১০০ জনের মতো বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। আহমেদাবাদ থেকে আরও ৪৫০ জন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের বরাতে শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। তবে আটকদের কীভাবে বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম এএনআইকে বলেছেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুরাট থেকে এসব বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটকরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল নথি নিয়ে এখানে বাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ’
শুধু সুরাটে নয়; আহমেদাবাদেও অভিযান চালানো হয়। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) শরদ সিঙ্ঘল বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে চান্দোলা এলাকায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি আছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে তল্লাশি চালিয়ে এ পর্যন্ত ৪৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজির নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত দুটো ভিন্ন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ১২৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ৭৭ জনকে তাদের দেশে পাঠানো হয়। ’গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সাংভি শনিবার সাংবাদিকদের জানান, গত রাতের অভিযানে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।এসব বাংলাদেশির (অনুপ্রবেশকারী) সব কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। সেজন্যই বিভিন্ন রাজ্যে অভিযানে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ। ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে কেন্দ্র সরকার।
 
                     
                            