বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ইউনিটগুলোই সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি ও হৃদ স্পন্দন। ইউনিট দায়িত্বশীলরাই সংগঠনের তৃণমূলের প্রতিনিধি। তাই তাদেরকে সংগঠনের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি ন্যায়- ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইউনিট দায়িত্বশীল সহ সংগঠনের সকল স্তরের জনশক্তিকে ময়দানে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহবান জানান। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবীর স্থানীয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের পল্লবী জোন আয়োজিত ইউনিট প্রতিনিধিদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্লবী অঞ্চল পরিচালক নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন পল্লবী দক্ষিণের আমীর আশরাফুল আলম,রূপনগর থানা আমীর আবু হানিফ,পল্লবী উত্তর আমীর সাইফুল কাদের ও পল্লবী মধ্য আমীর আবুল কালাম পাঠান প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, সংগঠনের ইউনিট পর্যায়ের কার্যক্রম শক্তিশালী হলেই উর্ধ্বতন সংগঠন সুদৃঢ় হবে। অতীতে বাধা-প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই দ্বীনের দাওয়াত ব্যাপকতা পেয়েছে।তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোনভাবেই হতোদ্দম হওয়ার সুযোগ নেই। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় আন্দোলন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি মজবুতি পেয়েছে। আওয়ামী-বাকশালী শাসনামল তার বাস্তব প্রমাণ। আল্লাহর মেহেরবানী ও ছাত্র- জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এখন বিনা বাধায় ময়দানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসলামের দাওয়াতকে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই দ্বীনের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ইসলামী জ্ঞান চর্চার এক নিপুন পরিকল্পনার নাম। যারা জামায়াত করেন তাদের জ্ঞানার্জনের প্রধান উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআনুল কারিম। তাই কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করার জন্য জামায়াত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত জামায়াতে ইসলামী সমাজের কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের জন্য এক মহতি মিশন নিয়ে দীর্ঘ পরিসরে ময়দানে সক্রিয় রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধ অনুসরণ করে জাতিকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসন ও বৈষম্যহীন জনকল্যাণমুখী নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। মূলত আমরা রাষ্ট্রের সর্বস্তরে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশীদার। তিনি দেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইউনিট দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।