ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫,
সময়: ১২:২৫:৪৯ AM

রাজনৈতিক দলের নেতাদের এলাকামুখী ঈদ

স্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
05-06-2025 01:41:21 PM
রাজনৈতিক দলের নেতাদের এলাকামুখী ঈদ

অন্তর্র্বতী সরকারের পক্ষে বরাবরই বলা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, কয়েকটি রাজনৈতিক দল বাদে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জোরালোভাবে তুলছে। তারা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ এবং সে অনুযায়ী রোডম্যাপও চায়। এ অবস্থায় দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি তারুণ্যের সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও। বিশেষ করে জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গঠন হওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারাও ঈদকে কেন্দ্র করে এলাকামুখী রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে তাদের বেশিরভাগই এখন নির্বাচনী বার্তা নিয়ে এলাকামুখী। কেউ কেউ এরই মধ্যে নিজ নিজ সংসদীয় আসনে জনসংযোগও শুরু করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে ঈদ উপহারও পৌঁছে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ক্ষেত্রে ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)’ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর মাধ্যমে উপহার দেওয়া হচ্ছে। দলের অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ঈদ উপলক্ষে উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন। এ ছাড়া বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামের সহযোগীদের সঙ্গেও ঈদে সময় কাটাবেন তারা। বন্যা পূর্বাভাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সহযোগিতার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। এলাকার মানুষের কাছে উপহার-উপঢৌকন পৌঁছে দিচ্ছেন অন্য দলের নেতারাও।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকায় গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। গত ৬ মে চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূকে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন তিনি। এরই মধ্যে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে আমেরিকা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে ডা. জুবাইদা রহমানের। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছেন স্বামী তারেক রহমান এবং তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান। তারা এবার যুক্তরাজ্যে ঈদ করবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানী ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশান সোসাইটি মসজিদ, মির্জা আব্বাস শাহজানপুর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেরানীগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশ, নজরুল ইসলাম খান বনানী ডিওএইচএস মসজিদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম, সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঢাকায় থাকছেন সেলিমা রহমান। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বনানীর বড় মসজিদ ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ধানমন্ডিতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও বেগম সারোয়ারী রহমান গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাসায় আছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা। এরপর রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে।

ঢাকা বিভাগের নেতাদের মধ্যে আবদুস সালাম পিন্টু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, মাহাদী আমিন, সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিনুল হক, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, শেখ রবিউল আলম রবি, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মীর সরফত আলী সপু, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাইফুল আলম নীরব, আফরোজা আব্বাস, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান, তাবিথ আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিন, মোস্তফা জামান, মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, খন্দকার আবু আশফাক, মামুন হাসান, এম কফিল উদ্দিন, এস এম জাহাঙ্গীর, ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, এম এ কাইয়ুম, মামুন হাসান, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আক্তার হোসেন নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাদের মধ্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শরিফুল আলম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ড. রফিকুল ইসলাম হেলালী, ডা. মো. আনোয়ারুল হক, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই জামান সেলিম, মো. মামুন বিন আব্দুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুজ্জামান, এজমল হোসেন পাইলট, শহীদুল্লাহ ইমরান, সালমান ওমর রুবেল প্রমুখ।

রাজশাহী বিভাগের মিজানুর রহমান মিনু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, হারুনুর রশিদ হারুন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, শফিকুল হক মিলন, আবদুল মতিন, ওবায়দুর রহমান চন্দন, মোশাররফ হোসেন, ফজলুর রহমান খোকন, আবু সাঈদ চাঁদ, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, মাহমুদা হাবিবা, মো. আবু বকর সিদ্দিক, গোলাম মোস্তফা, ফজলে হুদা বাবুল প্রমুখ।

রংপুর বিভাগের আসাদুল হাবিব দুলু, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ফরহাদ হোসেন আজাদ, বখতিয়ার আহমেদ কচি, ডা. মো. আবদুস সালাম, মির্জা ফয়সাল আমিন, জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, ডা. মঈনুল হোসেন সাদিক, তাসভীর উল ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, আবদুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, ড. মিজানুর রহমান মাসুম প্রমুখ।

খুলনা বিভাগের শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, নার্গিস বেগম, রকিবুল ইসলাম বকুল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আজীজুল বারী হেলাল, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টি এস আইয়ুব, এ কে এম আমিরুজ্জামান শিমুল, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মিথুন রায় চৌধুরী, জাকির হোসেন প্রমুখ।

চট্টগ্রাম বিভাগে বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, মাহবুবের রহমান শামীম, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, শাকিলা ফারজানা, মামুনুর রশিদ মামুন, নাছির উদ্দীন নাসির, ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান, সামির কাদের চৌধুরী, ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার প্রমুখ।

সিলেট বিভাগের আরিফুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রুশদির লুনা, নাসের রহমান, কয়েস লোদী, জিকে গউস প্রমুখ। ফরিদপুর বিভাগে মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, শামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, খন্দকার মাশুকুর রহমান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, এসএম জিলানী, নায়াবা ইউসুফ প্রমুখ।

বরিশালে বিভাগে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দার, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আকন কুদ্দুসুর রহমান, মো. মুনির হোসেন, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, নুরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলী লেলিন, মাহবুবুল হক নান্নু, দুলাল হোসেন, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, হাসান মামুন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রাজিব আহসান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল এবং কুমিল্লা বিভাগে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, বিল্লাল হোসেন তারেক প্রমুখ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি একাধিকবার সরকার পরিচালনাকারী দল। নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের সবসময় ছিল। আগামী দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনেরও প্রস্তুতি রয়েছে। সুতরাং ঈদ হচ্ছে আমাদের জন্য কাজ করার বাড়তি সুযোগ।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ সম্ভাব্য যে স্থানে ঈদ উদযাপন করবেন: আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার জেলায় নিজ গ্রামে, নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় নিজ গ্রামে, নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় নিজ গ্রামে, নায়েবে আমির সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় নিজ গ্রামে, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম ঢাকায়, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় নওকৈড় গ্রামে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ ঢাকার বসুন্ধরায়, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাঙ্গাপুষ্করিনী গ্রামে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল জেলার নিজ গ্রামে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট জেলায় নিজ গ্রামে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. শাহজাহান চট্টগ্রাম মহানগরীতে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ঢাকায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় নিজ গ্রামে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব ঢাকায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন বগুড়ায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ঢাকার মুহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং মসজিদে, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নিজ গ্রামে, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন সিলেট জেলায় নিজ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন বলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

ঈদে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকবেন এনসিপি নেতারা: রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে চায় দলটি। আর এর জন্য ঈদকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন তারা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেশিরভাগই নিজ নিজ এলাকায় ঈদুল আজহা পালন করবেন বলে জানা গেছে। এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে দলের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নেতাদের। এনসিপির অনেক নেতা এরই মধ্যে এলাকায় চলে গেছেন। বাকিরা আজ বা আগামীকালের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন।

জানা যায়, এনসিপির শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা তৃণমূলে গিয়ে জনসংযোগ করবেন। সাংগঠনিক ভিত্তি ও নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। সমাবেশ, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা। তবে গত ঈদুল ফিতরের মতো কেউ যাতে বিতর্ক তৈরি করতে না পারেন সেজন্য শোডাউনসহ বিতর্কিত কাজে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

এনসিপি সূত্রে জানা যায়, ঈদে নিজ এলাকায় গণসংযোগ করবেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। রংপুর-৪ আসনে নির্বাচন করতে পারেন তিনি। কুমিল্লার দেবীদ্বারে সক্রিয় থাকবেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি কুমিল্লা-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও অংশ নিতে পারেন। আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নিজ এলাকা পঞ্চগড়ে ঈদ করবেন। সেখানে তিনি জনসংযোগ করবেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ঈদ করবেন ঢাকায়; তার পরই নিজ জেলা ভোলায় যাবেন এবং জনসংযোগ করবেন। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার ঢাকা থেকে ঈদের পর যাবেন নিজ এলাকা নরসিংদীতে। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ঢাকায় ঈদ করবেন। যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এসএম শাহরিয়ার ঈদ করবেন ঢাকার নিজ এলাকায়। দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন ঈদ করবেন নিজ এলাকা নোয়াখালীতে এবং জয়নাল আবেদীন শিশির ঈদ উদযাপন করবেন কুমিল্লায়। যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ ঢাকায়, খান মুহাম্মদ মুরসালীন নিজ এলাকা ঢাকার সূত্রাপুরে, আরিফুর রহমান তুহিন নিজ এলাকা ঝালকাঠির রাজাপুরে ঈদ উদযাপন করবেন।

ঈদে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকায় সক্রিয় থাকবেন যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঈদ করবেন যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে উলিপুর, বাজারহাট এলাকায় সক্রিয় থাকবেন। টাঙ্গাইলের মধুপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন দলের উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অলিক মৃ। নিজ এলাকায় সক্রিয় থাকবেন তিনি।

এ ছাড়া এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন (পটুয়াখালী-২), আশরাফ উদ্দীন মাহাদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও মাহবুব আলম (লক্ষ্মীপুর-১), যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ (সিরাজগঞ্জ–২) আসনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।

দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসাইনসহ অনেকেই ঢাকায় ঈদ করবেন। ঢাকায় বিভিন্ন শহীদ এবং আহত পরিবারের সঙ্গে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বসবেন বলে জানা যায়।

নেতাদের ঈদ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘ঈদ কে কোথায় উদযাপন করবেন, সে ব্যাপারে দলীয় কোনো নির্দেশনা নেই। যে যার মতো করে ঈদ উদযাপন করছেন। তবে অনেকেই নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।’

যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন বলেন, দল থেকে ব্যানার ফেস্টুন এবং শোডাউনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে শহীদ এবং আহত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া, নিজ নিজ এলাকায় এনসিপির পক্ষ থেকে গণসংযোগ করা, এনসিপির বার্তাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা। জনগণ কী রাজনীতি চায়, পাশাপাশি আমরা কী রাজনীতি করতে চাই, সেগুলো জনগণের কাছে বলা।